- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- 'মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে', পুলিশের লাঠির বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের হুংকার বিকাশভবনের সামনে থেকে
'মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে', পুলিশের লাঠির বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের হুংকার বিকাশভবনের সামনে থেকে
SSC Protest Update: শুক্রবার সকালেও চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভ অব্যাহত। পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে এদিন ধিক্কার দিবস পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন চাকরিহারা শিক্ষকদার। কাল থেকে শুরু হয়েছে বিকশভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি।

বিক্ষোভ অব্যাহত
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুক্রবার সকালেও অব্যাহত। পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এদিন পালন করা হচ্ছে ধিক্কার দিবস।
সকাল থেকেই ঝাঁঝ বাড়ছে
শুক্রবার সকালে দিনের আলো ফুটতেই সল্টলেকের বিকশ ভবনের সামনে ভিড় জমছে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের।
পুলিশের ব্যরিকেড
পরিস্থিতিত নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এদিন সকাল থেকেই মোয়াতন ছিল পুলিশ। গতকালের থেকে এদিন পুলিশের সংখ্যাও বাড়ান হয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকরীদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি
এদিন আন্দোলকারীরা আরও সুর চড়িয়েছেন। তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিকাশভবনের সামনে আসতে হবে।
কনভেনশনের ডাক
এদিন বিকেলে বিকেলে বিকাশ ভবনের সামনে গন কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মঞ্চে বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা।
রাতভর অবস্থান
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ট থেকে বিকাশভবন ঘেরাও অভিযান করেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। কিন্তু রাতের দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। প্রতিবাদে বিকাশভবনের সামনে রাস্তা আটকে তারা বসে পড়েন। তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী এসে আশ্বাস না দিলে তারা এলাকা থেকে নড়বেন না।
বাইক বাহিনীর তাণ্ডব
আন্দোলনকারীরা নিজেরাই রাতে বিকাশ ভবনের অদূরে ব্যারিকেড করে অবস্থান শুরু করেন। তবে রাত বাড়তেই নাকি বেশ কয়েকটি বাইক তাঁদের অবস্থান মঞ্চের পাশ দিয়ে যাতায়াত করে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
পুলিশ নিস্ক্রিয়
আন্দোলনকারীদের দাবি তাদের বিশেষ করে অবস্থানে থাকা মহিলাগের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ছিল নিস্ক্রিয়।
চাকরিহারাদের মূল দাবি
'ওএমআর শিটের মাধ্যমে যোগ্য - অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে মামলার রিভিউ পিটিশন করুক রাজ্য সরকার। আমাদের ন্যায্য বিচারহোক। চোরেরা শাস্তি পাক। অন্যের পাপের দায় আমরা নেব না। '
সুপ্রিম কোর্টের রায়
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। তাতেই চাকরিহারা রাজ্যের ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা আর শিক্ষাকর্মী। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিহ্নিত 'অযোগ্য ' নয় এমন শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

