সংক্ষিপ্ত

নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক চিঠি। যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিকের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বর্তমানে চলছে মামলা। অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় নিয়োগ নিয়ে হয়েছে দুর্নীতি। টেট-র ভুল প্রশ্ন প্রমাণ করার পরও নম্বর দেওয়া হয়নি। সঙ্গে হয়েছে অবৈধ নিয়োগ। এরপর বেআইনী ভাবে যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের চাকরি বাঁচাতে রুখে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য সরকার।

নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক চিঠি। যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিকের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল। সেই চিঠি নিয়েই এবার ঘুরিয়ে চাল দিলেন মানিক। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা চিঠির কথা চার্জশিটেও উল্লেখ করেছিল ইডি।

ইডির দাবি ছিল ওই চিঠিতে উত্তর দিনাজপুরের ৪৪ জন চাকরি প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। এবার পাল্টা মানিকের দাবি, ওই চিঠিতে ২০১৩ সালের ঘটনার কথা বলা হয়েছে। আর তাকে ইডি গ্রেফতার করেছে ২০২৩ সালে।

এখানেই শেষ নয়, মানিকের দাবি চিঠিতে মহম্মদ খলিলউদ্দিন নামে যে ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে,সব টাকা তিনিই নিয়েছিলেন। চাকরির জন্য নেওয়া টাকা জমা পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের তহবিলে জমা পড়ে বলে ওই চিঠির বয়ান থেকে জানা যায়। এবার প্রশ্ন তাহলে কি নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে, তা জানতে পেরেছিলেন মমতা!

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।