পশ্চিমবঙ্গে এবার মিড ডে মিলের অন্তর্ভুক্ত হবে পথ কুকুররা। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশে পশুপ্রেমীদের সাধুবাদ জানালেও, শিক্ষকদের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন।

প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার মিড ডে মিলের ভাগ পাবে পথ কুকুরও। শনিবার এমনই নির্দেশ জারি করল রাজ্য। দিনে একবেলা অন্তত খাওয়াতে হবে পথ কুকুরদের। দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের।

রাজ্যের এই উদ্যোগে পশুপ্রেমিরা স্বাগত জানালেও শিক্ষকদের একাংশ তুলেছেন প্রশ্ন। সমাজকর্মী ও পশুপ্রেমী মেনকা গান্ধীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন’ রাজ্যের স্কুলগুলোর ওপর নির্দেশকা জারি করে জানিয়েছে, স্কুলের সামনে যে সব পথ কুকুর আছে, তাদের মিড ডে মিল দিতে হবে। এর জন্যের দায়িত্ব থাকবেন শিক্ষকরা এবং মিড ডে মিল তৈরি করেন যাঁরা তাঁদের একাংশ। শুধু পথ কুকুরকে খাওয়ানো নয় তাদের চিকিৎসা, ভ্যাকসিনেশন সহ অন্যান্য দায়িত্ব নিয়ে হবে। সোমবার থেকে নির্দেশ পালন করতে হবে।

নির্দেশিকা জারি হতেই শিক্ষক সংগঠন সহ বহু শিক্ষকদের অভিযোগ, মিড ডে মিল যে বরাদ্দ, তাতে মিড ডে মিল খাওয়ানোই দুস্কর। ছাত্র কম হলে কথাই নেই। বেশি ছাত্র দেখিয়ে মিড ডে মিল করতে হয়।

সভাপতি, WBPTA ভুজঙ্গ সরকার বলেন, আমাদের হেডেক বেড়ে গেল। এখন কুকুরকে খাওয়াতে আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে দেখছি। জানি না কী করব বুঝতে পারছি না।

মালদা চর সুজাপুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষা উজ্জ্বল তালুকদার বলেন, সরকার বলেছে তাই করতেই হবে। আমার স্কুল যথেষ্ট বড়। সেখানে মিড ডে মিল চালানো ব্যায়পার নয়। বেঁচে খাওয়া খাবার আমরা তো এমনই দিতাম। এটা আলাদা করে অর্ডার বের করার কী ছিল? এখন এমনিই শিক্ষ অপ্রতুল। তার মধ্যে এটা আলাদা দায়িত্ব।

শিক্ষা মিশন নির্দেশিকা দিয়ে বলেছিল, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের সুপারিশ অনুযায়ী পথ কুকুরের কামড়ের হাত থেকে স্কুলের বাচ্চাদের রক্ষা করতে হবে। পশুদের জনন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিশুদের কাছে যাতে কুকুর যেতে পা পারে সেদিকে লক্ষ রাখার পাশাপাশি কুকুরদের আঘাত যাতে না করা হয় তাও নজর রাখতে হবে। সেই সময়ও শিক্ষকদের উদ্দেশ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, মিড-ডে মিল দেওয়ার সময় যাতে কুকুর পড়ুয়াদের আশপাশে না থাকে তার দিকে নজর দিতে হবে।