এবছর পূর্ব বর্ধমানের একটি স্কুল সরস্বতী পুজোয় নজির গড়ল। সম্পূর্ণ বাংলায় মন্ত্র উচ্চারণ করলেন পুরোহিত। অনেকেই মেনে নিয়ে বললেন এটা একটা অভিনব ঘটনা।পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রামের সারদা মিশন শিক্ষণ মন্দিরের এদিনের পুজোকে ঘিরে একদম শোরগোল পড়ে যায়
সরস্বতী পুজোর দিনটা কিন্ত সকল পড়ুয়া ও বাঙালীর কাছে আনন্দের দিন। শুধু এই দিনটির অপেক্ষায় গোটা বছরটা মুখিয়ে থাকেন অনেকে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতী পুজো সকাল সকাল স্নান সেরে অঞ্জলি দেওয়া। পরনে সাদা বা হলুদ পোষাক। প্রতিমার সামনে ফুল হাতে নিয়ে পুরোহিতের বলা সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে গলা মিলিয়ে অঞ্জলি দেওয়া । কিন্তু এবছর পূর্ব বর্ধমানের একটি স্কুল সরস্বতী পুজোয় নজির গড়ল। সম্পূর্ণ বাংলায় মন্ত্র উচ্চারণ করলেন পুরোহিত। অনেকেই মেনে নিয়ে বললেন এটা একটা অভিনব ঘটনা। অর্থাৎ সরস্বতী পুজোয় চিরাচরিত অঞ্জলির জন্য যে সংস্কৃত মন্ত্র রয়েছে সেটাই বলে থাকেন সকলে। এই স্কুলে পুজোর সময় সংস্কৃতের জায়গায় একেবারে বাংলা ভাষায় মন্ত্রপাঠ করলেন পুরোহিত।
সংস্কৃতের জায়গায় বাংলা ভাষায় মন্ত্র উচ্চারণের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারা বাংলাতেই পুষ্পাঞ্জলি দিলেন। পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রামের সারদা মিশন শিক্ষণ মন্দিরের এদিনের পুজোকে ঘিরে একদম শোরগোল পড়ে যায়।
পুরোহিত কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? উত্তর এল সংস্কৃত ভাষাতে মন্ত্র বলার পর ঠিক কী বলতে চাওয়া হয়েছে সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। তাই মন্ত্র বাংলাতে উচ্চারিত হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এই ঘটনা দেখে ভাষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, সরস্বতী পুজোয় এটা একটা অভিনব ঘটনা তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সংস্কৃতের মন্ত্রকে বাংলাভাষায় অনুবাদ করে পাঠ করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এদিন বেশ উৎসাহ নিয়ে অঞ্জলীর সময় পুরোহিতের সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন পড়ুয়ারা।
স্কুলের পক্ষ থেকে জানা যায়, স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধ জানাতেই কবিতার ছন্দে সংস্কৃত মন্ত্রের অনুবাদ করেছেন কবি মারুত কাশ্যপ। বাংলায় অঞ্জলি দিয়ে পড়ুয়ারা জানাল সংস্কৃত না বুঝেই অঞ্জলি দিয়েছে এতদিন, এই প্রথমবার মানে বুঝে দেওয়া হল অঞ্জলী।
সেই মন্ত্র এবার দেখে নিন
বিষ্ণু যেমন পুষ্টিদাতা, গৌরী যেমন তৃপ্তিদাত্রী
দেবী তুমি আগলে রাখো আমাকে দিনরাত্রি....
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
