সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলকে বলব, আগে আয়ুষ্মান ভারতটাকে চালু করুন।চালু করুন প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনাকে । পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পরিষ্কার তালিকা কেন্দ্রে পাঠান। পশ্চিমবঙ্গে ৮১ লক্ষ প্রান্তিক কৃষক, যার মধ্যে পিএম কিশানে ৫০ লক্ষের নাম পাঠিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশের পর তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়লেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে বলব, আয়ুষ্মান ভারতটাকে আগে চালু করুন। তৃণমূলকে বলব চালু করুন প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনাকে । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তালিকা পাঠান কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গে ৮১ লক্ষ প্রান্তিক কৃষক অথচ পিএম কিশানে নাম পাঠিয়েছেন ৫০ লক্ষ । কেন্দ্রীয় বাজেটে কেন বঞ্চিত বাংলা, সুকান্ত মজুমদার সেকথা স্পষ্ট করেছিলেন। সেই পথে হাঁটলেন এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধ্যায় তমলুকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারি তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতিটা কম করুন। রাজনীতিটা আপনারা করেন। পশ্চিমবঙ্গের লোক তার ফল ভোগ করছে ।

শুভেন্দুবাবু আরও সুর চড়িয়ে তৃণমূলকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, অন্য রাজ্যগুলোকে দেখে শিখুন। ওমর আবদুল্লাহর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, যিনি ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে, তাঁকে দেখে শিখুন। তিনি বয়সে অনেক ছোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে, দেখে শিখুন। ঝাড়খন্ডের হেমন্ত সোরেন ভোটে এত ফাটাফাটি করেছে শপথ গ্রহণে মোদীজি, অমিত শাহজি, রাজনাথ সিংজি, নিতিন গড়কড়ির বাড়ি গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ফেডারেল স্ট্রাকচার মেনে কেন্দ্র রাজ্যের সম্পর্ক বজায় রাখুন।

অন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রসঙ্গেই থেমে থাকেন নি শুভেন্দু । তিনি বলেন, তৃণমূলকে বলব, আগে আয়ুষ্মান ভারতটাকে চালু করুন।চালু করুন প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনাকে । পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পরিষ্কার তালিকা কেন্দ্রে পাঠান। পশ্চিমবঙ্গে ৮১ লক্ষ প্রান্তিক কৃষক, যার মধ্যে পিএম কিশানে ৫০ লক্ষের নাম পাঠিয়েছেন ।তাঁরা পাচ্ছেন বছরে ৬ হাজার টাকা করে । তিনি প্রশ্ন করলেন, আরও ৩১ লক্ষ কৃষকের নাম কেন পাঠাননি? বিশ্বকর্মা যোজনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটা টাকা দিতে হয় না অথচ সেই প্রকল্পে ৬ লক্ষ আবেদন পড়ে । সেগুলো দিল্লিতে পাঠাচ্ছেন না কেন? আদিবাসী এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকার জমি চেয়েছে ৩টে একলব্য বিদ্যালয় তৈরির জন্য । প্রশ্ন তুললেন, সেই জমি কেন দিচ্ছে না রাজ্য? উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতিটা কম করুন।, এর কারণে তার ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের লোক। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী হবে তা জানিয়ে বললেন,এখানে সবচেয়ে বড় দাবি প্রতি বাড়িতে চাকরি চাই। গুজরাতের মতো শিল্প ও কর্মসংস্থান হোক পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা তাই চায়। সেকাজ করতে হলে এখানে ডবল ইঞ্জিন চাই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।