চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উনি বলতে চান সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নাকি বিজেপি প্রভাবিত করছে।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসর সভা থেকে নির্বাচন কমিশন জ্ঞানেশ কুমারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই মমতার বিরুদ্ধে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মমতা সবকিছু জানান। কিন্তু তারপেও জনগণের মধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি করতেই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করতেই এজাতীয় মন্তব্য করছেন।
চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উনি বলতে চান সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নাকি বিজেপি প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বিজেপি নিজেদের লোক বসাচ্ছে। উনি ভাল করেই জানেন আপনার নিয়োগ ২০২৩ সালের নতুন আইনের মাধ্যমে হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেলে থাকেন। নিরপেক্ষ এই পদ্ধতিতেই আপনার নিয়োগ হয়েছে। এর আগে নিয়ম ছিল বয়োজ্যোষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদটি পাবেন। সেই নিয়ম অনুযায়ীও এই পদ আপনারই পাওয়ার কথা ছিল। কারণ রাজীব কুমারের পর আপনিই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বয়োজ্যোষ্ঠ।'
তবে শুধু চিঠি নয়, শুভেন্দু মমতা বক্তব্যের সংশ্লিষ্ট অংশটুকুর ভিডিও ক্লিপও নির্বাচন কমিশনের দফতরে পাঠিয়েছেন। বোঝার সুবিধের জন্য তিনি ইংরেজিতেও অনুবাদ করে দিয়েছেন। শুভেন্দু আরও লিখেছেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে আপনার কাজের সময়টিকে তুলে ধরেছেন মমতা। কিন্তু উনি এটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন, যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব যিনি পান , তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিব পদে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। যা দেশের ভোট প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করে। ভারতের সংবিধান কমিশনকে এই অধিকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কমিশনকে আক্রমণ করে সব সীমা ছাড়িয়েছেন। ' শুভেন্দু চিঠিতে মমতার এক্রিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
