তারকেশ্বরের কাঁরারিয়া এলাকায় প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়ির পিছনের বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার সুমন্ত শিট নামক এক যুবকের মৃতদেহ। এই ঘটনায় পুলিশ তার প্রাক্তন স্ত্রী কদম মন্ডল ও সৎ মেয়ে অঙ্কিতা মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়ির পিছনের বাঁশ বাগান থেকে যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো তারকেশ্বরের কাঁরারিয়া এলাকায়।মর্মান্তিক এই ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রাক্তন স্ত্রী কদম মন্ডল ও সৎ মেয়ে অঙ্কিতা মন্ডল। মৃত যুবকের নাম সুমন্ত শিট বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি তারকেশ্বরের কেশবচক এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রথম স্বামী মৃত্যুর পর বছর দশক আগে কদম মন্ডল কে বিয়ে করেন সুমন্ত, বছর তিনেক আগে বিচ্ছেদ হয় দুজনের।

সুমন্তর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল প্রাক্তন স্ত্রী কদম। বার বার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতে যেত সুমন্ত এমনই দাবি সুমন্তর বোনের। গত কাল ও কদমের বাড়ি যায় সুমন্ত, রাত দুটো নাগাদ পুলিশ খবর পায় কাঁরারিয়া এলাকার একটি বাঁশ বাগানে মৃত দেহ পরে আছে তার রক্তাক্ত অবস্থায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে সুমন্তর। এর পরই খুনে যুক্ত থাকার সন্দেহে প্রাক্তন স্ত্রী কদম মন্ডল ও তার মেয়ে অঙ্কিতা কে আটক করে পুলিশ।এরপর পুলিশি জেরায় সুমন্ত কে খুনের কথা স্বীকার করে প্রাক্তন স্ত্রী কদম ও সৎ মেয়ে অঙ্কিতা ।

দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরাম পুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।এবং পুলিশি হেফাজতে চেয়ে প্রাক্তন স্ত্রী ও সৎ মেয়েকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে অপরাধ মূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল সুমন্তর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশি জেরায় প্রাক্তন স্ত্রী ও সৎ মেয়ে জানিয়েছেন বিচ্ছেদের পরও তাদের উপর অত্যাচার করতো সুমন্ত।গতকাল রাতে চরম অশান্তি কারণে সুমন্তর মাথায় বাঁশ দিয়ে মারতেই মরে যায় সুমন্ত।এর পর বাঁশ বাগানে দেহ ফেলে দিয়ে আসে তারা।

মৃত যুবকের বোন অঞ্জলি মিদ্দ্যা বলেন,ওর আগের স্বামী নেপু মন্ডলকেও মেরে দিয়েছিল কদম।ওর জন্য কত ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে।আমার দাদাকে বশ করে জমি ভিটে বন্ধক দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা লোন নিয়েছিল ব্যবসা করবে বলে।সেই টাকা চাইতেই অশান্তি করতে।ও মোটে ভালো না।কঠিন শাস্তি চাই।