সংক্ষিপ্ত
ভোটের ব্যারাকপুর সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল। বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়েছিল। কি্তু ১৭৪ নম্বর বুথ এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পান অর্জুন।
পঞ্চম দফায় উত্তপ্ত ব্যারাকপুর। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ ভৌমিক ও বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। গতবারের মত এবারও অর্জুন সিং নিজের গড় রক্ষা করার জন্য সকাল থেকেই ময়দানে রয়েছে। বীজপুরে বিজেপির মহিলা কর্মীর মাখাফাটাকে কেন্দ্র করে বিজেপি প্রার্থী বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সঙ্গে। দুই নেতার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অর্জুন মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল নেতার দিকে চড়াও হয়। কিন্তু অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অর্জুনের সঙ্গে রয়েছে অনুগামীরাও। তারাও এই সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে।
ভোটের ব্যারাকপুর সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল। বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়েছিল। কি্তু ১৭৪ নম্বর বুথ এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পান অর্জুন। মহিলা বিজেপি কর্মীর মাথাও ফাটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই অভিযোগ পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যান অর্জুন। সেখানেই তিনি বিবাদে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের সঙ্গে। বনি নামে এলাকার এক তৃণমূল নেতা এগিয়ে আসেন অর্জুনের দিকে। তার সঙ্গেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন অর্জুন। অর্জুন বনিকে ক্রিমিনাল বলেন। তিনি বলেন, 'ক্রিমিনাল বনি ভোটারদের চমকাচ্ছে।' এই কথা শুনেই তেড়ে আসেন তৃণমূল নেতা বনি। তিনি বলেন, 'কে ভোটারদের আটকাচ্ছে। অর্জুন সিং আমার নাম বনি। কী করবে? কিচ্ছু করতে পারবি না।' দুজনের মধ্যে বসচা চরম পর্যায় পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেন অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পাল্টা অর্জুন অভিযোগ করেন তাঁর অনুগামীদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। 'মেয়েটা ভোট দিতে যাচ্ছিল। ওকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। ও একটা ক্রিমিনাল। পরিচিত ক্রিমিনাল। আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জানাচ্ছি।' অর্জুনের এই অভিযোগের পরই সরব হন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুনঃ
ভোটদানে বাধা দিতে হাওড়ার আবাসনে তালা ঝুলিয়ে বোমাবাজি দুষ্কৃতীদের, তারপরেই এল কেন্দ্রীয় বাহিনী
মহিলাকে জোর করে চুমু খাওয়ার অভিযোগ, ভোটের আগের রাতে তৃণমূলের কাঠগড়ায় তুলল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে