একটা সময় রাগ চরমে পৌঁছতেই তৃণমূল বিধায়ক রীতিমত তাড়া করলেন বিল্ডিং ভাঙ্গতে আসা শ্রমিকদের । বিধায়ক অসিত মজুমদারকে ওই ভাবে ছুটে আসতে দেখে দৌড়ে পালাল বেশ কিছু শ্রমিক। বন্ধ হয়ে যায় ভাঙার কাজ।
রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ করতে এসে বিধায়কের তাড়া খেয়ে পালাল ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকরা। তাদেরকে রীতিমতো পিছন পিছন তাড়া করে ছুটলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধায়ক অসিত মজুমদার স্থানীয়দের নিদান দিয়ে বলেন, আপনাদের বাড়িতে বটি,কাটারি দিয়ে এরা ভাঙতে এলে তাড়া করবেন। তৃণমূল বিধায়ককে এভাবে মারমুখী হতে দেখে অবাক উপস্থিত সকলেই। অনেকেই বললেন, এ যেন দাবাং বিধায়ক।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্যান্ডেল এলাকায় রেল কোয়াটার গুলিতে রেলের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল ভাঙ্গার নোটিশ। সকলকে বলা হয়েছিল কয়েকদিনের মধ্যেই রেলের আবাসন গুলি খালি করে দেওয়ার জন্য । এই খবর চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে পৌঁছাতেই বিধায়ক রেলের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দেন মানুষের সমস্যার কথা। তিনি বলেন, যে সকল মানুষ ৪০-৫০ বছর ধরে এখানে রয়েছেন বা বসবাস করছেন তাদের পুনর্বাসন না করে কোন রকম উচ্ছেদ করা যাবে না।
রবিবার সকালে বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে খবর আসে রেল কোয়াটার ভাঙ্গা শুরু করে দেওয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে । এবং এই ভাঙ্গার বরাত নিয়েছে এলাকার তৃণমূলেরই কোন এক নেতা। সেখানে বেশ কিছু কোয়াটার ভাঙ্গা হচ্ছে বলে খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। নিজের চোখে সবটা দেখে প্রচন্ড রেগে যান তিনি। ভাঙতে আসা শ্রমিকদের উচ্চস্বরে বকাবকি করতে থাকেন । একটা সময় রাগ চরমে পৌঁছতেই তৃণমূল বিধায়ক রীতিমত তাড়া করলেন ভাঙ্গতে আসা শ্রমিকদের । বিধায়ক অসিত মজুমদারকে ওই ভাবে ছুটে আসতে দেখে দৌড়ে পালাল বেশ কিছু শ্রমিক। বন্ধ হয়ে যায় ভাঙার কাজ। বিধায়ক সেখানকার সমস্ত মানুষকে বলেন, আবার ভাঙ্গতে এলে বটি,কাটারি দিয়ে তাড়া করুন। এমনকি এই আবাসন ভাঙ্গা প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন যদি কোন তৃণমূলের লোক এই ভাঙ্গার কাজে সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে আমি তাকে তৃণমূল কংগ্রেস করতে দেব না। রিতিমত দাবাং রূপে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের এই রূপ দেখে স্থানীয় বললেন উনি ছিলেন বলে ভাঙাভাঙি আপাতত বন্ধ হল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
