Hooghly News: মাথার উপর বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা। দেনার দায়ে সপরিবারে আত্মঘাতীর চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। আবার কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? বিস্তাপিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…  

Hooghly News: খবরের শিরোনামে ফের ঘুমের ওষুধ খেয়ে সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা। অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে পরিবারের গৃহকর্ত্রীর মৃত্যু হলেও সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাড়ির কর্তা ও মেয়ে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী জেলার চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে একই পরিবারের তিনজন সদস্য! একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুইজনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। গত ২৮ মে চন্দননগর কলুপুকুর ভাগারধারে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঋণের দায়ে স্ত্রী মেয়েকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছিলেন গৃহকর্তা। আবার চন্দননগর! এবার চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায় একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ে একসঙ্গে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। যদিও পরিবারের গৃহকর্ত্রী মারা গেলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার স্বামী ও সন্তান।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধ ওই দম্পতির নাম একেন্দ্রনাথ দাস(৮৭)। সুনীতা দাস(৮৩)। ও তাদের মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাস(৪৩)। শনিবার সকালবেলায় অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।বৃদ্ধ ও তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন একেন্দ্রনাথ দাস।

জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাসের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘’আমাদের বাড়তে কাজ করার কেউ নেই। সংসারে অনটন। তাই তিনজনই ঘুমের ওষুধ খাই।'' এই বিষয়ে তাঁদের এক আত্মীয় আরণ্যক দাস বলেন, ‘’সুনীয় দাস আমার পিসি হয়। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পিসি পিসেমশাই ও দিদিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পিসিমার মৃত্যু হয়েছে। কি কারনে বলতে পারব না।'' 

স্থানীয় সূত্রে খবর, দাস পরিবার এলাকায় খুব মেলামেশা করত না। তিনদিন আগে বৃদ্ধকে বাইরে দেখা গিয়েছিল শেষবার।পুলিশ ও প্রতিবেশিরা জানিয়েছে, এক সময় এই পরিবার খুবই বিত্তশালি ও স্বচ্ছল ছিল।কোলিয়ারী ব্যবসা ছিল।বর্তমানে তাদের আর্থিক অনটনে কাটছিল। তা থেকেই মানসিক অবসাদের জেরে তারা সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। 

অন্যদিকে, নজরদারি কড়া করার পরও সীমান্তে ঠেকানো যাচ্ছে না অনুপ্রবেশের বাড়বাড়ন্ত। ফের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Bangladeshi)। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই অনুপ্রবেশকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছে পাচারকারীদেরও।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে বনগাঁ থানার পুলিশ। এভাবে চোরাপথে অনুপ্রবেশের পিছনে বড়সড় কোনও ছক রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। বনগাঁ থানা এলাকার গাঁড়াপোতা ও পাইকপাড়া এলাকায় হানা দিয়ে চারজন পাচারকারী ও তিনজন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত পাচারকারীদের নাম হল- আবুল হাসান, আকাশ সর্দার, সাগর মণ্ডল ও আলতাব হাসান মণ্ডল। এবং মহিলা অনুপ্রবেশকারীদের নাম হল- নাজমা সর্দার ও নাজমা হাসান।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলায়। ধৃত দুই মহিলাকে জেরায় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, তারা চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে কাজের উদ্দেশে এখানে এসেছিল। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পাইকপাড়া থানা এলাকা থেকে একজন পাচারকারী রানা বিশ্বাস ও এক মহিলা রূপা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার মীরপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ধৃত এই মহিলাও চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে কাজের খোঁজে। এদিকে কোর্টে তোলার আগে ধৃত বাংলাদেশি মহিলা রূপা বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, রানা বিশ্বাস তার স্বামী। দুই বছর আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। অভিযোগ, টাকা দিয়ে একবছর আগে তিনি ভারতীয় নথিও বানিয়েছেন। যদিও তিন বাংলাদেশি মহিলা ও চার পাচারকারীকে পুলিশ হেফাজত চেয়ে বারাসাত মহাকুমা আদালতে তোলে পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।