খড়পুরের খরিদা এলাকার ঘটনা। সিপিএম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বেবি কোলে ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।
প্রবীণ সিপিএম নেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। এই ঘটনা খড়ুপুরে। সিপিএম নেতাকে শুধুমাত্র মারধর করেই খান্ত হয়নি। তাঁর মুখে রঙ মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ ব্যক্তিদের ওপর তীব্র আক্রোষ মেটাচ্ছেন যিনি তিনি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই আবারও শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর খড়পুরের খরিদা এলাকার ঘটনা। সিপিএম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বেবি কোলে ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আক্রান্ত সিপিএম নেতা নিজেকে বাঁচাতে একটি রঙের দোকানে ঢুকেছিলেন। কিন্তু সেখানেও রেহাই মেলেনি। বেবি ও তার দলবল দোকানের ভিতর চড়াও হয়। ভিতরে মারধর করে। তারপর রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসে। সিপিএম নেতার গায়ে রঙ ঢেলে দেয়। প্রবীণ ব্যক্তিকে রাস্তাতেই জুতোপেটা করে বেবি। তেমনই দেখা যাচ্ছে ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে।
দেখুন সেই ভিডিওঃ
যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
এই ঘটনার পরই স্থানীয়রা খড়গপুর টাউন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অনিল দাস। তিনি বলেন, কয়েক জিন আগে স্থানীয় এক মহিলার শৌচাগের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। মহিলাকে নিয়ে থানা পুলিশও করেছিলেন। আর সেই আক্রোশ থেকেই থেকেই তাঁর ওপর এই হামলা বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়েই তৃণমূল নেতা, খড়পুরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, বেবি কোলে তাদের দলের সদস্য। কিন্তু বেবি কোন পদে রয়েছে তা তিনি জানেন ন। তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলবেন। যদিও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বেবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি আমরা।


