সংক্ষিপ্ত
যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র যুক্ত করলে গ্রাহক কত ওজনের রেশন নিলেন, সেই তথ্য সরাসরি অনলাইনে পৌঁছে যাবে খাদ্য দফতরের নথিপত্রে। এই বিষয়টিতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠন।
পশ্চিমবঙ্গে বহু রেশন ডিলারদের কাছ থেকে নেওয়া সামগ্রীতে ওজনে কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বহু গ্রাহক। এই অভিযোগ রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছতেই এবার রেশনের চাল, ডাল সহ বিবিধ সামগ্রী দেওয়ার জালিয়াতি আটকাতে উদ্যোগী হল প্রশাসন।
রেশনের মালে কারচুপি এড়াতে সামগ্রী দেওয়ার সময় এবার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উদ্যোগী হয়েছে স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দফতর। রেশন দোকানে এবার থেকে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের সাথে সাথে ই-পাস মেশিন যুক্ত করার প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা করছে খাদ্য দফতর। এই ই পাসের দ্বারাই জালিয়াতির মতলব রুখে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের অফিসাররা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অর্থ দফতর অনুমোদন দিলেই পদ্ধতিটির বাস্তবায়ন সম্ভবপর হবে।
বহু রেশন দোকানে ই-পাস যন্ত্রের সাহায্যে অনলাইনে গ্রাহকদের খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। এই যন্ত্রটিতে গ্রাহকদের আধার কার্ডের নম্বর যাচাই এবং রেশন কার্ড সোয়াইপ করা হয়। এই ই-পাস যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র যুক্ত করলে গ্রাহক কত ওজনের রেশন নিলেন, সেই তথ্য সরাসরি অনলাইনে পৌঁছে যাবে খাদ্য দফতরের নথিপত্রে। গ্রাহক এবং সরকারি দফতরের মাঝে সরাসরি যোগসূত্র না থাকায় এখনও পর্যন্ত কারচুপি করার সুযোগ রয়েছে। তবে, নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওজনের কারচুপি বন্ধ করতে চাইছে খাদ্য দফতর। ভারত সরকারও গোটা দেশের জন্য এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
কিন্তু, এই নতুন ব্যবস্থার বিষয়টিতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, ‘এই পদ্ধতিতে রেশন দিলে গ্রাহকদের হয়রানি আরও বাড়বে। এখনই আধার যাচাই প্রক্রিয়ার জটিলতার জন্য অনেক গ্রাহক খাদ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। ডিলারদের কমিশন পর্যাপ্ত বাড়িয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’
অন্যদিকে, অর্থ দফতর সূত্রে খবর, এই ই-পাস জন্ত্রের সঙ্গে ওজনযন্ত্র যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় ব্যয় হতে পারে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ই-পাস যন্ত্র বসানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে চালু হলে সেই নতুন ব্যবস্থাও একইভাবে করা হবে। তবে, রাজ্যের কাছে অর্থ দফতর কিছু প্রশ্ন রেখেছে। খাদ্য দফতরের তরফে সেই প্রশ্নগুলির সদুত্তর মিললেই অনুমোদন পাওয়া যাবে। রেশনের ক্ষেত্রে ই-পাস যন্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত কমিশন ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১ পয়সা করেছে কেন্দ্র। এই কমিশন রাজ্যে ই-পাসের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হবে। নতুন ব্যবস্থা চালানোর আর্থিক দিকটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অর্থ দফতর।
আরও পড়ুন-
ঘূর্ণিঝড় মনদৌসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকত, রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা
‘এতও দামি গয়না পরে রাস্তায় বেরিয়েছেন কেন?’ এই বলেই গয়না হাপিশ করত দুষ্কৃতীরা, পুরুলিয়া পুলিশের জালে ২
১০ এবং ১১ তারিখ দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা বদল, লোকাল ট্রেন বাতিল হওয়ায় দুর্ভোগের আশঙ্কায় টেট পরীক্ষার্থীরা