Durga puja News -

কলকাতাতে এখন থিম পুজো নিয়ে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি টক্কর চলছে। প্রতি বছরই নয়া নয়া থিম নিয়ে হাজির হচ্ছে কলকাতার সব পুজো কমিটি। তবে এবার সেই থিম পুজোর টক্কর থেকে সরে গেল রাজডাঙা নবোদয় সংঘ। গত দুবছর যেহেতু অতিমারিতে সেভাবে কিছু করা যায়নি তাই এবছরটা আরও বেশি করে অভিনবত্বের ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করছে সমস্ত পুজো মন্ডপগুলি। তবে সেই দৌঁড় থেকে সরে গেল রাজডাঙা নবোদয় সংঘ।

পুজোর মণ্ডপ থেকে সম্পূর্ণ অন্য এক বার্তা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ। কারণ এবার তাঁদের পুজোর থিম 'রূপান্তর'। পুজোর মন্ডপ থেকেই পুজো কমিটি বার্তা দেওয়া চেষ্টা করছে রূপান্তরকামীরা আমাদের মতই রক্ত মাংসার মানুষ। তাঁদের মন আছে। ইচ্ছে আছে। তাঁরাও আমার আমপার মত সমাজেরই অঙ্গ।

২০২২ সালের দুর্গাপুজায় ভিন্ন 'দৃষ্টিকোন-এ হবে বিবেকানন্দ পার্কের দুর্গা পুজা। ২০২০ সালে সদ্য পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছে কলকাতার অন্যতম নামী বিবেকানন্দ পার্কের পুজো। সেই সময় অতিমারি পরিস্থিতির জেরে নম নম করে সাড়তে হয়েছিল পুজো।

উল্টোডাঙা সংগ্রামী সংঘের পুজো এবার মূল্যবোধের পুজো। কারণ এই পুজোর থিম হলে 'মূল্যবোধ'। উদ্যোক্তাদের মূল লক্ষ্যই হল পুজোর মণ্ডপে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের তুলে ধরা। আর সেই কারণেই এদের পুজো মণ্ডপে ঠাঁই পেয়েছে কৃষক, তাঁতী এই জাতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

দেশ স্বাধীন হওয়ারও আগে মাত্র ১২ জন বন্ধু মিলে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো। উত্তর কলকাতার হাটখোলা গোঁসাইপাড়ার সেই পুজো ৮৬ বছর বয়সে এসে জিতে নিল ইউনেস্কোর সম্মান।

কলাগাছের থেকে থোড় কেটে, বাকি যে অংশ পড়ে থাকে, তাই দিয়েই তৈরি হচ্ছে পুরো প্যান্ডেল। সেই অংশটিকে রিসাইকেল করে সেজে উঠছে প্যান্ডেলের নানা ভাগ।

হঠাৎ ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ কেন। কেনই বা বকুল বাগানের এবারের থিম সেই বিখ্যাত স্টারি নাইট? এই থিম বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে এক গৌরব। সেটা অবশ্যই বাংলার গৌরব, বাংলার সম্মান।

লালবাগান সার্বজনীনের দুর্গাপুজো এবছর হইহই করে পা রাখছে ৭৫ বছরে। প্রধান থিম ‘অশুচি মায়ের উপাখ্যান’।

নচিকেতা পাগলা জগাই গানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে বাঘাযতীন বি অ্যান্ড সি ব্লক-এর পুজো প্যান্ডেল। এমনই জানান কমিটির সদস্য অনিক ভট্টাচার্য।

আমাদের ক্লাবের ছোট সদস্যরা কোনও পেশাদার শিল্পীকে নিযুক্ত না করেই মন্ডপ সাজসজ্জার পুরো কাজটি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের মূর্তি আগের মতই একই সাজে তৈরি হয়েছে, আধুনিকতার সামান্য ছোঁয়ায় এবারও সেই ঐতিহ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। আমরাও চেষ্টা করেছি পুজোকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে।