সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে এই প্যানেল প্রধানমন্ত্রী মোদীর পঞ্জাব সফরের সময় নিরাপত্তার ত্রুটির তদন্ত করবে। এটি স্বাধীন কমিটি হবে, এর রিপোর্ট জমা পড়বে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।

ফিরোজপুরের ডেপুটি সিপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সুখদেব সিং-এর সঙ্গে দেখা  করেছিল ইন্ডিয়া টুডের তদন্তকারী দল। সেখানেই কথাবার্তা স্পষ্ট রাজ্যের গোয়েন্দা ইউনিটগুলি প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের আগে রাজ্যে কী কী ঘটনা ঘটেছিল তার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। তিনি বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার ও বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ২ জানুয়ারি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছিল। 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পি লতা মঙ্গেশকর। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁরও খোঁজ খবর নেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।

বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যানের গড় ১ লক্ষর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ওমিক্রনের কারণেই দেশে কোভিড সংক্রমণ দ্রুত হচ্ছে বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোউইন প্ল্যাটফর্মে একটি প্রয়োজনীয় ফিল্টার দিয়েছে। যাতে মডেল কোড অব কন্ডাক্ট কার্যকর হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ভোটমুখী রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের কোভিড -১৯ টিকাদানের শংসাপত্র থেকে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি বাদ দেওয়া যায়। 

কোভিড পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কোভিড-ক্লাস্টর নিয়ন্ত্রণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। সক্রিয় নজরদারি অব্যাহত রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সাহায্য প্রদান করার কথা বলেছেন। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন। 

প্রধানবিচারপতি এনভি রামনা, বিচারপতি সূর্যকারন্ত হিমা কোহলির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেডিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাপক নিরাপত্তা লঙ্ঘন করার সময় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পঞ্জাব সফরের ব্যবস্থা সংক্রান্ত রেকর্ডগুলি সংরক্ষিত ও সংরক্ষিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন ২৪ ডিসেম্বর। সেখানে তিনি আধিকারিকজের সতর্ক ও সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়তে পারে। মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন মোদী। 

সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিভ্রান্ত হয়ে যেসব মানুষ পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরে বিঘ্ন ঘটাতে চেয়েছিল তাদের বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রীর থেকে কী কী ভাবে উপকৃত হয়েছে পঞ্জাবে। আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্জাবকে আরও অনেক সুবিধে দেবেন। সেগুলিও চিন্তাভাবনা করা জরুরি। 

দেশে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণ এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাশাপাশি এই বৈঠকে অন্যান্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।