রবিবার সকালে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্য সরকারকে তুলোধুনো করেন তিনি।
রবিবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় খড়গপুর শহরে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে বোগদা এলাকায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা-চক্রে বসেন।
‘ওরা তো গরু নিয়েই পড়ে আছে’, তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন দিলীপ ঘোষ সেখানেই রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও বর্ধমানের সভা থেকে বাজেট নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার প্রতিটি কোণায় মানুষের অসুবিধার কথা জানতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ‘দিদির দূত’-দের। এই প্রসঙ্গে এবার শাসক দলকে খোঁচা দিলীপ ঘোষের।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকে আয়োজিত হয় পদ্ম শিবিরের একটি সভামঞ্চ। সেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে সংঘটিত আবাস দুর্নীতির বিতর্ক নিয়ে তৃণমূল শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান দিলীপ।
ঘটনার বিরোধিতাইয় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
“ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে ‘বন্দে মাতরম’ বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল ‘জয় শ্রীরাম’ ব্যান করে দিক।” বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনীতে তৃণমূল বনাম বিজেপি তরজা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
রেল পরিষেবা স্বচ্ছল করে তোলার জন্য ভারত সরকারের প্রশংসা করে তাঁর বক্তব্য, “ভারতীয় রেলের সংস্কৃতি বদলে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিক পরিষেবাযুক্ত হাইস্পীড ট্রেনের দিকে এগোচ্ছে।”
‘আজ আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী এবং রেশন প্রকল্পকে ভিক্ষার সাথে তুলনা করা হল। বিজেপি নেতারা এভাবেই বাংলার মহিলা এবং মানুষদের অপমান করে থাকেন’, মন্তব্য রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজার।