আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময়ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলের অনেক ক্ষতি করেছেন কুণাল ঘোষ।
জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আর তাতেই মিলল স্বস্তি।
এতদিন অর্পিতাকে নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান নি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। মুখে কুলুপই এঁটে ছিলেন। ২০২৪ সালে এসে এবার ‘বান্ধবী’ অর্পিতাকে নিয়ে আদালতে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
২২ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। একই সময় তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে দু’দফায় প্রায় ৫১ কোটি টাকা সহ কেজি কেজি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই থেকেই জেলবন্দি পার্থ-অর্পিতা।
বুধবার গ্রুপ সি-র নিয়োগ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল আলিপুরে সিবিআই -এর বিশেষ আদালতে। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সহ বাকিদের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুজো সংগঠক হিসেবে অরূপ ভাল। তারপরই কিছুটা অভিমানের সুর পার্থর গলায়। তিনি মান্না দে-র বিখ্যাত গানের কলিও আওড়ালেন। তিনি বলেন, 'হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে।'
২০২৩ সালে নাকতলার পুজোর ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই বিষয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখনই উদয়ন সংঘে আসতে চলেছে নতুন মুখ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ। একই সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেও নিজের তুলনা করেন তিনি।
মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন, দলীয় পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেটে গেছে গোটা ১টা বছর। সোমবার, ২৪ জুলাই, তাঁকে আবার আদালতে পেশ করা হল। সেই আদালতে যাবার পথেই এদিন সকালবেলা সাংবাদিকদের সামনে চাঞ্চল্যকর কথা বললেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
ঢোকার সময় নিজের সম্পত্তির বিষয়ে বরাবরের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নে আজ আর কোনও উত্তরই দিতে শোনা যায়নি তাঁকে। কিন্তু, আদালতের ভিতরে বিচারপতিদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড়েই সমস্ত দুর্নীতির দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।