সংক্ষিপ্ত
- গণ্ডারদের মৃত্যুতে দিশেহারা বনদপ্তর
- অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলদাপাড়ায়
- আপাতত বন্ধ থাকবে হাতি সাফারি
- মৃত জন্তুদের নমুনা পাঠানো হল কলকাতায়
জঙ্গলে কি বন্যজন্তুদের মরক শুরু হল? একের পর এক গণ্ডারের মৃত্যুতে কার্যত দিশেহারা বনদপ্তরের আধিকারিকরা। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হাতি সাফারি বন্ধ থাকবে ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। শুধু তাই নয়,অভয়ারণ্যের পূর্ব রেঞ্জের এলাকাটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হয় অসুস্থ, নয়তো বা মৃত, রোজই জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে গণ্ডারদের উদ্ধার করছেন বনকর্মীরা। বুধবার একটি পূর্ণবয়ষ্ক স্ত্রী গণ্ডাদের দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গলে। নজরদারি আরও বাড়ানো হয়। সেদিন ইস্ট রেঞ্জ বা পূর্ব রেঞ্জে সিধাবাড়ি এলাকায় আরও একটি স্ত্রী গণ্ডারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করা হয় মা-হারা শাবকটিকেও। বৃহস্পতিবার সকালে আবার খবর আসে, জলদাপাড়ার মালঙ্গী রেঞ্জে একটি গণ্ডার অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, জলদাপাড়া গত ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচটি স্ত্রী গণ্ডার মারা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি গণ্ডারের রহস্যমৃত্যু, অ্যানথ্র্যাক্স আতঙ্ক জলদাপাড়ায়
একে পর এক গণ্ডার মারা যাচ্ছে কেন? প্রাথমিক তদন্তে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপের বিষয়টিই সামনে এসেছে। কিন্তু যদি সত্যি জঙ্গলে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে হাতি বাইসনের মতো অন্য় প্রাণীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা। কিন্ত মারা তো যাচ্ছে স্রেফ গণ্ডাররাই, তাও আবার স্ত্রী প্রজাতির। রহস্য ভেদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বক্সার ছাপোষা ট্যুর গাইড-এ মজলেন হ্যারি পটার খ্যাত রাউলিং, আসছে নতুন উপন্যাস
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সবকটি গণ্ডারের মৃতদেহই উদ্ধার হয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের ইস্ট রেঞ্জ বা পূর্ব রেঞ্জের বনাঞ্চল থেকে। ওই এলাকায় জন্তুদের ঢোকা এবং বেরোনোর বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছে বনদপ্তর। কুনতি হাতির সাহায্যে ইস্ট রেঞ্জে জঙ্গল সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বনরক্ষীদের। এদিকে মৃত গণ্ডারের শরীরের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতায়, বেলগাছিয়ায় পশু হাসপাতালে। সেই রিপোর্টের দিকে নজর সকলেরই।