তারা প্রত্যেকেই দলিত সম্প্রদায়ের। প্রধানমন্ত্রীকে সামাজিক কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে তারা একটি চিঠি লিখেছিল। আর তার জন্যই মহারাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে আগামী ২১ অক্টোবর ভোটের কারণে, এখন রাজ্যে নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছে। ওই ছাত্ররা সেই বিধি ভঙ্গ করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশ্ববিদজ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ অক্টোবর। ওয়ার্ধার মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল হিন্দি ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে নোটিস জারি করে ওই ছয় ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন তফসিলি উপজাতির আর বাকিরা অন্য়ান্য পিছিয়ে পড়া জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা কোনও রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত নন। শুধু মাত্র কিছু সামাজিক সমস্য়াকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধী দলগুলির দাবি ছাত্রদের মুক্তচিন্তা করতে, ভাবনার আদানপ্রদান করতে উৎসাহিত করবে এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কাম্য। তার বদলে ছাত্ররা কিছু সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলে তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চরম অপরাধ বলে দাবি বিরোধীদের।
দলিত ছাত্রদের উপরই শাস্তির খাড়া নামিয়ে আনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে 'পার্টিজান' মানসিকতার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে কংগ্রেস দলের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তি দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি রক্ষার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে, একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে তা করতে পারে সেই প্রশ্নই করছেন বিরোধীরা।