লোকসভা নির্বাচনে দলের পারফরম্য়ান্সে রীতিমত হতাশ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। শুক্রবার তিনি বলেন এজাতীয় ফলাফল অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ছিল। আর এই ফলাফল তাঁকে হতাশ করেছে বলেও মন্তব্য করেন। শক্রবার কংগ্রেসের সভানেত্রী বলেছেন দলের এই ধরাসায়ী অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য খুব তাড়াতাড়ি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। এই শোচনীয় পরাজয় থেকে দলকে শিক্ষা নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সনিয়া গান্ধী বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে সবকটি রাজ্যে কংগ্রেসের কাজ খুব খারাপ হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে নিজেদের ভুল শুধরে নিতে হবে বলেও সাংসদীয় পার্টির বৈঠকে মন্তব্য করেন তিনি। কংগ্রেস এই ভোটের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু বাংলায় বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়াই করার পরিণতি খুব একটা সুখকর নয়। এই বাংলার কংগ্রেস এবার একটিও আসন পায়নি। তৃণমূলের দখলে রয়েছে ২১৩টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি আসন।
কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবে একটা সময় পরিচিত ছিল অসম। সেখানেও বিজেপির কাছে পর্যদস্ত কংগ্রেস। সিএএ আন্দোলন সত্ত্বেও সেখানে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। কংগ্রেস রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। কেরলে কংগ্রেসের মূলত লড়াই ছিল বামেদের সঙ্গে। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। একমাত্র এই রাজ্যে বিজেপি একটিও আসনে জিততে পারেনি। অন্যদিকে তামিলনাডুতে ডিএমকের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতা দখল করলেও তেমন সাফল্য জোটেনি কংগ্রেসের। তিরিশটির মধ্যে মাত্র ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। আর পুদুচেরিতে গতবার ক্ষমতায় থাকলেও এবার তার ধারেকাছে যেতে পারিনি কংগ্রেস।
বিহারে কংগ্রেসের খারাপ ফলাফলের পর এই রাজ্যের ভোট রাজ্যের কংগ্রেসের ফলাফল আরও ভাবিয়ে তুলেছে সভানেত্রীকে। গত একবছরেরও বেশি সময় কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়ানোর একাধিক চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনওটাতেই তেমন সাফল্য পায়নি। দলের প্রথম সারির নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বালরা বারবার স্থায়ী নেতৃত্বের কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও তা নিয়ে কোনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি সনিয়া গান্ধী।