বিরোধী জোটকে ধরাসায়ী করে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে চালকের আসনে বসতে চলেছেন করুণানিধি পুত্র এমকে স্ট্যালিন। ডিএমকে নেতাই ছিলেন এবার নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে সামনে এল জয়লতিতার এআইডিএমকে দলের দুরাবস্থার কথা। তামিল রাজনীতিতে চলচ্চিত্র অভিনেতাদের গুরুত্ব বরাবরই ছিল। আর সেই পথে হেঁটেই একাই সাফল্য পেতে চলেছেন কমল হাসান। তাঁর এমএনএম কোনও সাফল্য পায়নি।
চলতি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরেই ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিল ডিএমকে। ডিএমকে-র মূল প্রতিপক্ষ এআইএডিএমকে লড়াই করেছিল বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে। কমল হাসানের দল এমএনএম একাই লড়াই করেছে।
দ্রাবিড় রাজনীতি বরাবরই স্টার কেন্দ্রিক। এমজি রামাচন্দ্র থেকে শুরু করে করুণানিধি ও জয়ললিতা- দীর্ঘদিন ধরেই রাজ করেছেন দ্রাবিড় রাজনীতিতে। রুপলি পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রীদেরই মূল প্রাধান্য ছিল তামিলনাড়ুতে। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয়েছিল জয়ললিতার। তারপরেই দলের উত্তরাধিকার নিয়ে দলের অন্দরেই তৈরি হয় সমস্যা। যার প্রভাব পড়ে রাজ্যরাজনীতিতেও। ২০১৮ সালে মৃত্যু হয় করুনানিধির। সবমিলিয়ে তামিল রাজনীতিতে একটি ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু স্ট্যালিন অনেকটাই সেই মিথ ভেঙে দিয়েছেন। করুনানিধির পুত্র হয়েও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হেসেবেই নিজেকে বরাবর তুলে ধরেছেন। স্থানীয়দের কথায় তাঁর রাজনৈতিক ইমেজই এনে দিয়েছে এই সাফল্য। অন্যদিকে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও সাফল্য ধরা দিল না অভিনেত্রী খুসবু সুন্দরের হাতে। ডিএমকে প্রার্থী ইজিলান এন-এর সঙ্গে ভোট যুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে অভিনেত্রী রাজনীতিবিদ। যদিও তাঁর প্রচারে রীতিমত সাড়া পেয়েছিলেন খুসবু।
তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেতা মনু সুন্দরম জানিয়েছেন, করোনা মহামারির মধ্য অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে ভোট হয়েছে। তবে তামিল জনতা বিজেপি ও বিজেপি বিরোধী জোটের পক্ষেই রায়দান করেছেন। তিনি আরও বলেন জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারে বলেই দলের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
২৩৪ আসনের তামিলনাড়ু বিধানসভায় ১৪৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ডিএমকে। দলের জয় স্পষ্ট হলেই চেন্নাইয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। তারপরই সামনে আসে নির্বাচন কমিশনের কড়া চিঠি। করোনা আবহে বিজয় মিছিল না করতে নির্দেশ দেয় কমিশন। ডিএমকে নেতাও সেই পথে হেঁটে দলীয় কর্মীদের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিময় বিধি উপেক্ষা করে বিজয় উৎসব পালন করতে নিষেধ করে দেন।