ভাই কে ফোঁটা তো দেন, তবে কীভাবে সূচণা হল এর জানেন কি

  • কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটা
  • দেশের বহু অঞ্চলে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত
  • পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষ দিন পালিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎস
  • নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে

deblina dey | Published : Oct 28, 2019 3:38 AM IST

ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান, কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে কালীপুজোর দুই দিন পর অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বহু অঞ্চলে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত।  পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষ দিন পালিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে। সেখানে বিজয়াদশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব।

আরও পড়ুন- দীপাবলি উৎসবে চতুর্দশীতে পালিত আরও এক উৎসব, জেনে নিন সেই উৎসব সম্পর্কে

এই উৎসব নিয়ে বহু মত প্রচলিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দিয়ে ছড়া কেটে বলে-

আরও পড়ুন- জানেন কি কত রূপে পূজিত হন মা কালী, দেখে নিন মায়ের বিভিন্ন রূপ

ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা

আরও পড়ুন- ভাইফোঁটা কড়ে আঙুল দিয়েই কেন দেওয়া হয় জানেন কি

সেই থেকেই সূচণা এই উৎসবের। বিভিন্ন পরিবারের রীতি-নীতি ভেদে পরিবর্তিত হয়ে থাকে ভাইফোঁটার নিয়ম। বোন তার ভাই-এর মাথায় ধান এবং দুর্বা ঘাসের শীষ রাখে। এই সময় শঙ্খ বাজানো হয় এবং হিন্দু নারীরা উলুধ্বনি করেন। এরপর বোন তার ভাইকে আশীর্বাদ করে থাকে। যদি বোন তার ভাইয়ের তুলনায় বড় হয় অন্যথায় বোন ভাইকে প্রণাম করে আর ভাই বোনকে আশীর্বাদ করে থাকে। তারপর বোন ভাইকে মিষ্টিমুখ করায় এবং উপহার দিয়ে থাকে। ভাইও তার সাধ্যমত বোনকে উপহার দিয়ে থাকে।

Share this article
click me!