ছট পুজো কী, জেনে নিন এই পুজোর রীতি পালনের নিয়ম

  • ছট পুজো কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত একটি হিন্দু পার্বণ
  • এই উৎসবটি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যেও পালিত হতে দেখা গিয়েছে
  • ছটে কোনও মূর্তি পূজা করা হয় না
  • ছটে সূর্য-ই পুজোর প্রধাণ আরাধ্য দেবতা

deblina dey | Published : Oct 28, 2019 9:50 AM IST

ছট পুজো হিন্দু বর্ষপঞ্জীর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত একটি প্রাচীন হিন্দু পার্বণ। এই লৌকিক উৎসব পূর্ব ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং নেপালের তরাই অঞ্চলে পালিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দুদের দ্বারা পালিত হওয়া এই উৎসবটি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যেও পালিত হতে দেখা গিয়েছে। ধীরে ধীরে এই পার্বণ প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়েছে। ছট পুজো সূর্য ও তার পত্নী ঊষা যিনি ছোটী মাঈ নামে পরিচিত, তাঁর প্রতি সমর্পিত হয়। ছট পুজোতে সূর্য ও ছোটী মাঈ-কে পৃথিবীতে জীবনের স্রোত বহাল রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আশীর্বাদ প্রদানের জন্য কামনা করা হয়। ছটে কোনও মূর্তি পূজা করা হয় না সূর্য এই পুজোর প্রধাণ আরাধ্য দেবতা।

আরও পড়ুন- অমাবস্যার শেষ ও প্রতিপদ এর শুরু, এই তিথি কোন রাশির উপর কেমন ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে দেখে নিন

ছট বা ছঠ, ষষ্ঠী নামের অপভ্রংশ। মূলত সূর্য ষষ্ঠী ব্রত হওয়ার দরুন একে ছট বলা হয়। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালনের পর এই চার দিনের ব্রত শুরু হয় কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে আর চলে সপ্তমী অবধি। এই পুজর সবচেয়ে কঠিন ও তাৎপর্যপূর্ণ রাত্রি হল কার্তিক শুক্লা ষষ্ঠী। বিক্রম সংবৎ-এর কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে এই ব্রত উদযাপিত হওয়ার কারণে এর নাম ছট রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ভাই কে ফোঁটা তো দেন, তবে কীভাবে সূচণা হল এর জানেন কি

আরও পড়ুন- দীপাবলি উৎসবে চতুর্দশীতে পালিত আরও এক উৎসব, জেনে নিন সেই উৎসব সম্পর্কে

চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে যিনি ব্রত পালন করেন, তিনি বাড়িঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ ভোজন করেন। পরদিন থেকে উপবাস শুরু হয়। দিনভর নির্জলা থেকে উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় পুজোর শেষে ক্ষীরের ভোগ গ্রহণ করতে হয়। এই জন্য এই রীতির নাম খরনা। তৃতীয় দিনে নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অন্যান্য ব্রতীদের সঙ্গে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য অর্থাৎ দুধ অর্পণ করা হয়। ব্রতের শেষ দিনে গঙ্গা ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে পবিত্র চিত্তে অর্ঘ্যপ্রদানের পর উপবাসভঙ্গ করে  মিষ্টান্ন, ক্ষীর, ঠেকুয়া, নাড়ু এবং আখ, কলা, মিষ্টি লেবু প্রভৃতি ফল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয় ও পরিচিত সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

Share this article
click me!