১১৭ বছর পর আজকের এই মহাযোগ, এই তিথিতেই কাটিয়ে উঠুন কালসর্প দোষ

  • মহা শিবরাত্রি বা শিব চতুর্দশীর শেষ হয়ে শুরু অমাবস্যার
  • ১১৭ বছর পর শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে মহা শিবরাত্রি 
  • ১৯০৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এমন যোগ হয়েছিল
  • এই তিথি অত্যন্ত বিরলই নয় শুভ যোগ হিসেবেও বিবেচিত

deblina dey | Published : Feb 22, 2020 3:49 AM IST / Updated: Feb 22 2020, 09:51 AM IST

১১৭ বছর পর শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে মহা শিবরাত্রি বা শিব চতুর্দশীর শেষ হয়ে শুরু অমাবস্যার। ১৯০৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এমন যোগ হয়েছিল। এই মহাতিথি অত্যন্ত বিরলই নয় শুভ যোগ হিসেবেও বিবেচিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যে ৬ টা ৩৯ মিনিটে চতুর্দশী তিথি ছেড়ে শুরু হবে অমাবস্যার। ফাল্গুন মাসের প্রথম অমাবস্যা। এই তিথিতেই কালসর্প দোষ থাকলে তা কাটিয়ে উঠুন সহজেই। মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।

আরও পড়ুন- কেমন কাটবে শনিবার সারাদিন, দেখে নিন আজকের রাশিফল

আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন, ফাল্গুন পালন করুন এই নিয়মগুলি

পুরান অনুযায়ী, শিব অভিশাপে নাগকূল তাদের সব ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাদের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য, সমগ্র নাগকূল শিবের আরাধনা করেছিলেন। রাহু ও কেতুও মহাদেবের পুজো করেছিলেন বলে কথিত আছে। এই পুজোর পরেই শিব তাদের শাপমুক্ত করেন। তাই বিশেষ এই তিথিতে আপনিও দেবাদিদেব মহাদেবকে সন্তুষ্ট করুন, ও তাঁর কৃপাদৃষ্টি পান। আর মুক্তি পান কালসর্প দোষ থেকে। শুধু নিষ্ঠাভরে চতুর্দশী তিথিতে পঞ্চ উপাদান- দুধ, ঘি, মধু, গঙ্গাজল, দই দিয়ে স্নান করান। একটি নিঁখুত বেলপাতা ও বাতাসা অর্পণ করুন, তাতেই সন্তুষ্ট তিনি। একমনে নিষ্ঠাভরে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করুন। 

আরও পড়ুন- মহা শিবরাত্রি পালন করছেন, তবে জেনে নিন এই শক্তির জন্ম রহস্য

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কালসর্প যোগ বা কালসর্প দোষকে ভয়াবহ দশা বলেই মনে করা হয়। এই যোগ থাকলে সারাজীবন দুর্ভাগ্যের সঙ্গে কাটে বলেই মনে করেন জ্যোতিষীরা। কালসর্প যোগ যদি কোনও জাতক বা জাতিকার থাকে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিকার নেওয়া প্রয়োজন। কোনও ব্যক্তির কালসর্প যোগ থাকলে তাকে প্রতিপদে বাধার সম্মুখীন হবে। তাদের সমস্ত কাজেই বাধার সৃষ্টি হয়। জ্য়োতিষশাস্ত্র মতে, কালসর্পযোগের পিছনে রয়েছে রাহু ও কেতুর ভূমিকা। যখন রাহু ও কেতুর মধ্যে সব গ্রহ থাকে এবং রাহু আর কেতু সর্বদা বিপরীত দিকে থাকে তবেই কালসর্প দোষ বা যোগ দেখা দেয়। 

Share this article
click me!