কথিত আছে যে ভাদ্র অমাবস্যার এই তিথিতে পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে এসে তাদের পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদ করেন। সুতরাং, এই তারিখে পূর্বপুরুষদের কাছে প্রার্থনা করা হয়। পূর্বপুরুষদের উপাসনার কারণে এই অমাবস্যয় নানান কার্যও করা হয়। পিত্রদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই দিনে পিতৃ তর্পণ করা, স্নান ও দান করা অত্যন্ত পুণ্যময় বলে বিবেচিত হয়।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনটি পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনা করে পূজা করা হয়। এই দিনটির উপাসনা করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে পূর্বপুরুষদেরও পুজো করা হয়। হিন্দু ধর্মে এর বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। এই অমাবস্যার দিনে, পিতৃতান্ত্রিক শান্তি এবং রোগের জন্য করা দান ও পুজোয় বিশেষ ফল লাভ হয়।
আরও পড়ুন- পবিত্র কৌশিকী অমাবস্যা, জেনে নিন এই পূণ্য তিথির সময়সূচী
ভাদ্র অমাবস্যার নির্ঘন্ট-
অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ১৮ অগাস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ টা বেজে ৪১ মিনিটে। যা সারা দিন ও রাত চলবে এবং শেষ হবে অমাবস্যা শেষ হবে ১৯ অগাস্ট বুধবার সকাল ৮ টা বেজে ১২ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার স্নান, দান, উপবাস ও উপাসনা করা উচিত। তবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে, এই ব্রতের যাবতীয় রীতি ঘরে বসেই পালন করুন। তবে এই দিনে কোনও কূট বা অন্যায় কার্য আপনার জীবনে আনতে পারে দুর্ভাগ্য।
অমাবস্যায় স্নান ও ব্রত পালনের রীতি-
কৌশিকী বা ভাদ্র আমাবস্যা চলাকালীন গঙ্গা স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে গঙ্গাস্নান সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে লকডাউনের কারণে নদীতে স্নান না করাই ভালো। অতএব, ভাদ্র অমাবস্যায় পূণ্য ফল আপনার বাড়িতে পাওয়া যাবে। এর জন্য সকালে সূর্যোদয়ের সময় আপনার স্নানের জলে বাড়িতে থাকা সামান্য গঙ্গার জল মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে কিছু তিল যোগ করুন। এই জলে স্নান করে সূর্য দেবতাকে প্রণাম করুন। মহামারী বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মেনে চলুন এই নিয়ম আর পান তীর্থযাত্রার ফল।