হিন্দুদের কাছে, দীপাবলি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিন সব হিন্দুরা বাড়িতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। উত্তর ভারতীয় হিন্দুদের মতে দীপাবলির দিনেই শ্রীরামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের নির্বাসনের পর অযোধ্যা ফেরেন। নিজের পরমপ্রিয় রাজাকে ফিরে পেয়ে অযোধ্যাবাসীরা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে তোলেন তাদের রাজধানী। এই দিনটিতে পূর্বভারত বাদে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষে লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর নিয়ম আছে। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালেন। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক।বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সারা রাত প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে লক্ষ্মী আসেন বলে উত্তর ভারতীয় হিন্দুরা বিশ্বাস করেন।
আরও পড়ুন- 'মানুষের এই স্বভাবই হয়ে ওঠে জীবনে দুর্ভোগের একমাত্র কারণ', জানায় চাণক্য নীতি
বাংলায় আবার এই উৎসব দীপান্বিতা কালীপূজা হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়। এই উৎসব সাড়ম্বরে আলোকসজ্জার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। দীপাবলির সন্ধ্যায় বাংলায় লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। তার আগে করা হয় অলক্ষ্মী পুজো। এই পুজো অমঙ্গল ও অশুভের প্রতীক। তাই তাকে বিদায় করে লক্ষ্মীবরণই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রতের বিভিন্ন নিয়ম আছে। সনাতন হিন্দু শাস্ত্র মতে, কৌশিকী অমাবস্যার এই রাতেই লক্ষ্মী দেবীর আর্বিভাব হয়।
আরও পড়ুন- দীপাবলিতে এইভাবে দান করুন প্রদীপ, কাটবে অকাল মৃ্ত্যু সমস্যাও
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই দিন কয়েকটি জিনিস প্রতক্ষ্য করলে লক্ষীলাভের সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনি দীপাবলির রাতে এই কয়েকটি জিনিস প্রত্যক্ষ করেন তবে, জানবেন আপনার জীবনে ভালো কিছু ঘটতে চলেছে। শাস্ত্র মতে, টিকটিকির ডাক শোনা দীপাবলির দিন অত্যন্ত শুভ। এটি শুভ সময় আসার ঈঙ্গিত দেয়। এইদিন ঘরের পোষ্য বা বিড়াল যদি দুধ খেয়ে নেয়, তবে তা ভাগ্য় পরিবর্তনের লক্ষণ। এই অমাবস্যার দিনে ঘরে ইঁদুর বা ছুঁচো দেখতে পাওয়াও শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্র মতে, দীপান্বিতা আমাবস্যার দিনে লক্ষ্মী প্যাঁচা দর্শণ করলে সারা বছর আর্থিক উন্নতির সুযোগ থাকে।