চাণক্য একজন দক্ষ পণ্ডিতের পাশাপাশি একজন দার্শনিকও ছিলেন। চাণক্যের বিভিন্ন বিষয়ে ছিল গভীর জ্ঞান। চাণক্য তাঁর অধ্যয়ন ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন যে শত্রু যদি জীবনে থাকে তবে কারও কখনই গাফিলতি করা উচিত নয়। কারণ আপনার অবহেলা শত্রুর জয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চাণক্য নীতি অনুসারে, মানুষের দুই ধরণের শত্রু রয়েছে, প্রথম দৃশ্যমান শত্রু এবং দ্বিতীয় অদৃশ্য শত্রু। চাণক্যের মতে শত্রু যেই হোক না কেন, তাকে কখনই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। চাণক্যের মতে শত্রু যদি শক্তিশালী হয় তবে লুকিয়ে থেকেই সেই শত্রুতা শেষ করার চিন্তা করা উচিত।
আরও পড়ুন- ধনতেরাসে এই ৫ টি জিনিস ভুলেও নয়, দেখা দিতে পারে চরম আর্থিক সমস্যা
চাণক্যের মতে সর্বদা শত্রুর কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন এবং জ্ঞান থাকা উচিৎ। এটি করে আপনি শত্রুর প্রতিটি কৌশল জানতে পারবেন এবং আপনি সজাগ থাকবেন। তবে এগুলি ছাড়াও কিছু জিনিস রয়েছে যেই বিষয়গুলিও জেনে রাখা খুব জরুরি। চাণক্যের মতে শত্রুকে কখনই দুর্বল মনে করা উচিত নয়। শত্রু আপনার দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে আক্রমণের সময় খুঁজছেন। অতএব, শত্রুর সামনে কখনই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করবেন না। দুর্বলতা প্রকাশিত হলে শত্রু সহজে আক্রমণ করার সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন- সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে হয় এই ব্রত পালন, জেনে নিন আহোই অষ্টমীর গুরুত্ব
চাণক্যের মতে নিজের শক্তি বাড়িয়ে রাখা উচিত, সর্বদা তার শক্তি বৃদ্ধি করার বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। যদি কোনও ব্যক্তি উচ্চ পদে থাকে তবে তার শত্রুও রয়েছে, যা তিনি জানেন না। তাই শক্তি বাড়িয়ে রাখলে শত্রুর মনোবল দুর্বল হয়ে যায়। চাণক্যের মতে শত্রুদের সংস্থানগুলি সংরক্ষণ করার সময় ও শত্রুকে পরাজিত করার জন্য একটি পরিকল্পনা করা উচিত। শত্রু যদি ক্ষমতা বেশি থাকে তবে তা লুকিয়ে রাখা উচিত এবং এর শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। সক্ষম এবং উপযুক্ত সময়ে, শত্রুর প্রতিটি পদক্ষেপের কঠোরতার সঙ্গে সাড়া দেওয়া উচিত।