Annapurna Jayanti 2021: অন্নপূর্ণা জয়ন্তী পালিত হয়, জেনে নিন তিথি, গুরুত্ব এবং তাৎপর্য

এই বছর অন্নপূর্ণা জয়ন্তী পড়ছে ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে এক মনে মা অন্নপূর্ণার পুজো করলে পরিবারে কখনও অন্ন, জল ও অর্থের অভাব হয় না। জেনে নিন এই দিনের গুরুত্ব এবং মা অন্নপূর্ণার পুজো পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য।
 

Web Desk - ANB | Published : Dec 15, 2021 6:05 AM IST

প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অন্নপূর্ণা জয়ন্তী পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তিথিতে মা পার্বতীর রূপে হিসাবে পালিত করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, এক সময় পৃথিবীতে খাদ্যের অভাব দেখা দেয় এবং প্রাণীরা খাদ্যের জন্য হাহাকার শুরু করে। তখন মা পার্বতী মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে অন্নপূর্ণা রূপে পৃথিবীতে অবতারণ করেছিলেন।
এই বছর অন্নপূর্ণা জয়ন্তী পড়ছে ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে এক মনে মা অন্নপূর্ণার পুজো করলে পরিবারে কখনও অন্ন, জল ও অর্থের অভাব হয় না। জেনে নিন এই দিনের গুরুত্ব এবং মা অন্নপূর্ণার পুজো পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য।
অন্নপূর্ণা জয়ন্তীর তাৎপর্য-
অন্নপূর্ণা জয়ন্তীর উদ্দেশ্য হল মানুষকে খাবারের গুরুত্ব বোঝানো। আমরা খাদ্য থেকে জীবন পাই, তাই আমাদের কখনই খাবারকে অসম্মান করা বা অপচয় করা উচিত নয়। অন্নপূর্ণা জয়ন্তীর দিন রান্নাঘর পরিষ্কার করতে হবে এবং গ্যাস, চুলা ও খাবারের পুজো করতে হবে। সেই সঙ্গে অভাবীদের খাদ্য দান করতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, মা অন্নপূর্ণা এতে প্রসন্ন হন এবং তার ভক্তদের উপর বিশেষ আশীর্বাদে রাখেন। এতে করে পরিবারে যেমন সর্বদা সমৃদ্ধি থাকে, তেমনি পরের জন্মেও গৃহ সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে।
উপাসনা পদ্ধতি
অন্নপূর্ণা জয়ন্তীর দিন ভোরবেলা সূর্যোদয়ের সময় ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পুজোর স্থান ও রান্নাঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। এরপর হলুদ, সিঁদুর, নৈবেদ্য, ফুল ইত্যাদি দিয়ে রান্নাঘরের চুলায় পুজো করুন। তারপর একটি আসনে মা অন্নপূর্ণার মূর্তিটি স্থাপন করুন এবং একটি সুতো নিন এবং তাতে ১৭ টি গিঁট বেঁধে দিন। সেই সুতোয় চন্দন ও সিঁদুর লাগিয়ে মা অন্নপূর্ণার ছবির সামনে রেখে ১০টি দূর্বা ও ১০টি ফুল নিবেদন করুন। অন্নপূর্ণা দেবীর স্তোত্র পাঠ করুন। এর পরে, আপনার পরিবারের প্রতি তাঁর কৃপা বজায় রাখার জন্য প্রার্থনা করুন। তারপর বাড়ির পুরুষদের ডান হাতে ও মহিলাদের বাম হাতের কব্জিতে সুতা বেঁধে নিন। পুজো শেষে কোনও দুঃস্থকে অন্ন দান করুন। এই পুজো ঠিক বিপদতাড়িনীর মতো।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এক সময় পৃথিবীতে খাদ্যের অভাব দেখা দেয় এবং মানুষ ক্ষুধার্ত হতে শুরু করে। হতাশ হয়ে মানুষ ব্রহ্মা, বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করল। এর পরে ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু শিবকে যোগ নিদ্রা থেকে জাগিয়ে তোলেন এবং তাকে সমগ্র সমস্যা সম্পর্কে অবগত করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য শিব নিজেই পৃথিবী পরিদর্শন করেছিলেন। তখন মা পার্বতী অন্নপূর্ণার রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। এরপর শিব ভিক্ষুকের রূপ ধারণ করে অন্নপূর্ণা দেবীর কাছে অন্ন চাইলেন এবং ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে সেই অন্ন বিতরণ করলেন। এর পর পৃথিবী থেকে খাদ্য ও জলের সংকটের অবসান ঘটে। যেদিন মাতা পার্বতী অন্নদেবীরূপে আবির্ভূত হন, সেই দিনটি ছিল অগ্রহায়ণ শেষের পূর্ণিমার দিন। সেই থেকে এই দিনটিকে মাতা অন্নপূর্ণার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আরও পড়ুন- গাড়ি-কে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে, গাড়িতে বাস্তুমতে রাখুন এই জিনিসগুলি

আরও পড়ুন: Vastu Tips: ভুলেও এই দেওয়ালে ঘড়ি লাগাবেন না, বাস্তু ভুলে সম্মুখীন হতে পারে একাধিক ক্ষতির

আরও পড়ুন: Vastu Tips: মনসংযোগ বাড়াতে নির্দিষ্ট দিকে পড়ার টেবিল রাখুন, জেনে নিন কোন দিকে রাখা শুভ

Share this article
click me!