বুদ্ধপূর্ণিমার দিন দান করুন এই বিশেষ জিনিস, সৌভাগ্য লাভ করবেন

আজ রইল বিশেষ টোটকা। এই বিশেষ তিথিতে পালন করুন এই টোটকা। বুদ্ধপূর্ণিমার দিন দান-ধ্যান করা শুভ বলে গণ্য হয়। আজ দরিদ্রদের জল দান করুন।  বুদ্ধপূর্ণিমার দিন জল দানে পূণ্য লাভ করবেন। এতে জীবনের সকল বাধা কেটে যাবে। 

Sayanita Chakraborty | Published : May 16, 2022 11:04 AM IST

বৈশাখী পূর্ণিমার দিন পালিত হচ্ছে বুদ্ধপূর্ণিমা। কথিত আছে, এই দিন গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। নেপালের লুম্বিনি নাকম স্থানে ৫৬৩ খ্রিস্টাব্দে জন্ম হয়েছিল গৌতম বুদ্ধের। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিন রাজা শুদ্ধধন ও রানি মায়াদেবীর সন্তান হিসেবে জন্ম হয় ভগবান বুদ্ধের। তিনি ছিলেন বিষ্ণুর নবম অবতার। তিনি সারাজীবন মানুষের দুঃখ দূর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি হলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। 

পঞ্জিকা মতে বৌদ্ধ পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ৩১ বৈশাখ রবিবার। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৫ মে রবিবার শুরু হয়েছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা তিথি। এদিন দুপুর ১২.৪৭ মিনিটে শুরু হয়েছে তিথি। আর চলবে ১৬ মে সকাল ৯.৪৪ মিনিট পর্যন্ত। শাস্ত্রে এই দিনটির গুরুত্ব বিস্তর। দিনটি শুধু বৌদ্ধ ধর্মেই নয়, হিন্দু ধর্মেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্র মতে, গৌতম বুদ্ধ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার। সে কারণে আজ নানা জায়গায় পুজিত হচ্ছেন ভগবান বিষ্ণু। 

আজ রইল বিশেষ টোটকা। এই বিশেষ তিথিতে পালন করুন এই টোটকা। বুদ্ধপূর্ণিমার দিন দান-ধ্যান করা শুভ বলে গণ্য হয়। আজ দরিদ্রদের জল দান করুন।  বুদ্ধপূর্ণিমার দিন জল দানে পূণ্য লাভ করবেন। এতে জীবনের সকল বাধা কেটে যাবে। 

অনেক সময় আমাদের জীবনে খারাপ সময় চলতে থাকে। শাস্ত্র মতে, গ্রহের ফেরে এমনটা হয়। .প্রতি মুহূর্তে গ্রহ তাদের অবস্থান বদল করে চলেছে। আর এই অবস্থান বদলের জন্য আমাদের জীবনে নানা পরিবর্তন হয়। কারও ভালো সময় শুরু হয়তো কারও খারাপ। এই সময় মেনে চলুন বিশেষ টোটকা। শাস্ত্রে যে কোনও শুভ দিনে দানের উল্লেখ আছে। মনে করা হয়, দান করলে মানুষের জীবনে পূণ্য মেলে। কেটে যায় জীবনের সকল বাধা। শাস্ত্র মতে, বুদ্ধপূর্ণিমার দিনও দান করতে পারেন। এই দিন চাল, ডাল, পোশাক দান করতেই পারেন। তবে জীবনের খারাপ সময় কাটাতে চাইলে জল দান করুন। জলের পাত্র দানেও একই উপকার পাবেন। 
শাস্ত্র মতে, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমায় তাঁর জন্ম হয়েছিল। সে কারণে প্রতি বছর এই তিথিতে পালিত হয় বৌদ্ধ পূর্ণিমা। ২৯ বছর বয়সে সত্য অনুসন্ধানের জন্য তিনি পরিবার ত্যাগ করেন। তারপর তিনি বোধি গাছের নীচে বসে ৪৯ দিন কঠোর তপস্যা করেন। সে কারণে তাঁর আরেক নাম বোধিসত্ত্ব। তিনি ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা।

আরও পড়ুন- মিথুন রাশির ছেলে মেয়েরা মেনে চলুন এই ১০ টোটকা, সব কাজে সফল হবেন এই উপায়

আরও পড়ুন- প্রেমভাগ্য মোটেও নয় এই চার রাশির, অধিকাংশ সময় এক তরফা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এরা

আরও পড়ুন- চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সূর্য ও মঙ্গলের গতিবিধির পরিবর্তন, এই রাশিগুলিকে থাকতে হবে সতর্ক
 

Share this article
click me!