প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতেই পালিত হত শিখ গুরু নানকের জন্ম জয়ন্তি তিথি। তবে এই বছর কার্তিক মাসে নয় এই তিথি পালিত হচ্ছে অগ্রহায়ণ মাসে। বিশেষ এই তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রথম শিখ গুরু নানক। তাই এই পবিত্র দিনের হিন্দু ধর্মে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মনে করা হয় দীপাবলির পরের এই পূর্ণিমা তিথিতে গঙ্গা স্নান করলে সারা বছরের গঙ্গা স্নানের পূণ্য অর্জণ করা যায়। এই বছরে বিশেষ এই তিথি পড়েছে ইংরেজির ৩০ নভেম্বর ২০২০ সোমবার।
আরও পড়ুন- এই দিনেই মহাদেব কাল ভৈরব রূপ ধারণ করেছিলেন, জেনে নিন এই তিথির গুরুত্ব
গুরু নানক দেব ছিলেন শিখ ধর্মের প্রথম গুরু। গুরু নানক দেবের এই জন্মবার্ষিকী পালিত হয় সারা বিশ্বে। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই দিনে চাঁদের আলোয় থাকে ইতিবাচক শক্তি। আর বিশেষ এই তিথিতে উপবাস করলে মেলে এক হাজার অশ্বমেধ এবং একশোটি রাজসিক যজ্ঞের সমান পুণ্য। শিখ সম্প্রদায় এই দিনটি গুরু পরব উৎসব হিসেবে পালন করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত শিখদের এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে পালিত হয়। অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে এই দিন পালিত হয় বিশেষভাবে।
আরও পড়ুন- চাণক্য নীতি, 'খারাপ সময়ে এই ৩টি সম্পর্ককে সবার আগে চেনা যায়'
এই দিনে লক্ষ্মীপুজো বা অশ্বত্থগাছে পুজো করে প্রদীপ দান করলেও মেলে সুফল। কার্তিক পূর্ণিমায় শিবলিঙ্গে জল নিবেদন সহ শিব পুজো করলেও মেলে শিবব্রত পালনের সমান পূণ্য। মনে করা হয় এই বিশেষ দিনে গঙ্গায় স্নান এবং মৌসুমী ফলের দানকে অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ এই দিনে দুঃস্থদের ফল, খাদ্য ও শীতবস্ত্র দান করা পবিত্র বলে মনে করা হয়। গঙ্গাস্নানের পর সূর্য প্রণাম করা করলে পূণ্যলাভ করা যায়।