কথায় আছে যে, লক্ষ্মী হলেন চঞ্চলা। তাই, শুধুমাত্র ভক্তি ভরে পুজো করাতেই শেষ নয়। বাড়িতে, মা লক্ষ্মীর কৃপা এবং অধিষ্ঠান ধরে রাখার জন্য ৩টি জিনিস অবশ্যই অতি যত্নে ঘরের মধ্যে রেখে দিতে হয়।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মা লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পদের দেবী। শুধুমাত্র কোজাগরী পূর্ণিমার বিশেষ তিথি নয়, বছরের প্রত্যেকটি দিন হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করার রীতি রয়েছে। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার পাঁচালি পড়ে ফুল অর্পণ করে পুজো করেন মহিলারা। কেবল বাড়ির আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল এবং সমৃদ্ধশালী রাখার জন্যই নয়। বাড়ির অশান্তি, দুঃখ, দুর্দশা দূর করে সুখ এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যেও দেবী নারায়ণীর আরাধনা করে থাকেন মানুষ। তবে, কথায় আছে যে, লক্ষ্মী হলেন চঞ্চলা। তাই, শুধুমাত্র ভক্তি ভরে পুজো করাতেই শেষ নয়। বাড়িতে, মা লক্ষ্মীর কৃপা এবং অধিষ্ঠান ধরে রাখার জন্য ৩টি জিনিস অবশ্যই অতি যত্নে ঘরের মধ্যে রেখে দিতে হয়। সারা বছর ধরে এই ৩টি জিনিস বাড়িতে থাকলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় পরিবারের সমস্ত মানুষের মাথায় থাকে।
-
দেবী ভগবতীকে তুষ্ট রেখে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য একটি প্রধানতম বস্তু বাড়িতে রাখা উচিত, যা পাওয়া একটু কষ্টসাধ্য হলেও তা ফলপ্রদায়ী হয় খুব অল্প দিনের মধ্যেই। এই জিনিসটি হল, পদ্ম ফুলের বীজের মালা। কথায় আছে যে, দেবী হলেন পদ্মাসনা। তাই, পদ্ম ফুলের কয়েকটি বীজ দিয়ে তৈরি করা মালা বাড়িতে রাখলে নিত্যদিন দেবী তুষ্ট থাকবেন এবং বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে সুখ এবং সমৃদ্ধশালী রাখবেন।
-
মা লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়ার জন্য আরেকটি অন্যতম উপাদান হল হলুদ। পুরাণে উল্লিখিত আছে যে, দেবীর গায়ের রং গৌর বর্ণের। অর্থাৎ, দেবী হলেন উজ্জ্বল। তাই, এক টুকরো হলুদ যদি সারা বছর তাঁর আসনের পাশে বা কাছাকাছি জায়গায় রেখে দেওয়া যায়, তাহলে তিনি খুশি থাকেন।
-
পদ্মা দেবীর আরেকটি পছন্দের বস্তু হল কড়ি। প্রাচীনকালে এই কড়ি দিয়েই মানুষের মধ্যে জিনিস কেনাবেচার চল প্রচলিত ছিল। যেহেতু তিনি সম্পদের দেবী, তাই তাঁর কাছে কয়েকটি কড়ি রেখে দিলে সারা বছর ভক্তদের সংসার অর্থে পরিপূর্ণ থাকবে। কোনওদিন সংসারে দারিদ্র্যতার ছায়া পড়বে না।