তিথি অনুসারে আজ পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মৃত্যু বার্ষিকী। ১৮৮৫ সালে এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবনের শেষ কটা দিন কঠিন কষ্টে কেটেছিল তাঁর। ইতিহাস ঘাঁটলে মেলে সেই সকল কষ্টের কথা। জানা যায়, ১৮৮৫ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের গলা থেকে প্রথম রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসক জানান, তিনি ক্লার্জিম্যানস থ্রোট রোগে আক্রান্ত।
শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। দিনটি ছিল রবিবার। তিথি অনুসারে আজ পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মৃত্যু বার্ষিকী। ১৮৮৫ সালে এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবনের শেষ কটা দিন কঠিন কষ্টে কেটেছিল তাঁর। ইতিহাস ঘাঁটলে মেলে সেই সকল কষ্টের কথা। জানা যায়, ১৮৮৫ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের গলা থেকে প্রথম রক্তক্ষরণ হয়। দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তিনি। চিকিৎসক জানান, ক্লার্জিম্যানস থ্রোট রোগে আক্রান্ত শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব।
এরপর শুরু হয় চিকিৎসা। প্রখ্যাত চিকিৎসক মহেন্দ্রলাল সরকার তাঁকে দেখতে আসেন ১৮৮৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর। পরের মাস থেকে শুরু হয় চিকিৎসা। তারপরই চিকিৎসক বলেন রোগটি ক্যান্সার। কলকাতার শ্যামপুকুর অঞ্চলে তাকে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা সংকট জনক হলে ১৮৮৫ সালে ১১ ডিসেম্বর তাকে স্থানান্তরিক করা হয় কাশীপুরের এক বাগান বাড়িতে। সেখানে ২৫ মার্চ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জে এম কোটস এসেছিল তাঁকে দেখতে। বিখ্যাত ডাক্তার রাজেন্দ্রনাথ দত্ত আসেন ১৮৮৬ সালে ৬ এপ্রিল। চিকিৎসক তাঁকে কথা না বলার নির্দেশ দেন। কিন্তু, তিনি সে কথা অমান্য করেন।
ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। শেষে শ্রাবণের শেষ দিনে ১৮৮৬ সালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা যায়, শেষ দিনে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ ভাতের পায়েস খেয়েছিলেন। সেদিনে তিনি বলেছিলেন, ‘ভিতরে এক ক্ষিধে যে হাঁড়ি হাঁড়ি খিচুড়ি খাই, কিন্তু মহামায়া কিছুই খেতে দিচ্ছেন না।’
১৮৮৬ সালে শ্রাবণের দিন তিনি সকাল ১০টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন সকালে তাঁকে ডাক্তার দেখতে এসে জানান, তিনি প্রয়াত হয়েছে। ১৬ অগস্ট সকালবেলায় ডা. মহেন্দ্রলালা সরকার কাশীপুরে আসেন। ‘বেলা দশ ঘটিকায় এসে জানান, ঠাকুরের প্রাণবায়ু নির্গত হয়েছে।’ এমনই উল্লেখ মেলে অভেদানন্দের বর্ণনায়।
কাশীপুর মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল, বিকেল ৬টা নাগাদ। সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মাত্র ৫০ বছর বয়সে প্রয়াত হন শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। তিনি ছিলে উনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোহসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ।
আরও পড়ুন- চাণক্যের এই বিষয়গুলো মেনে নিলে আপনি সব সময় সুস্থ থাকবেন, কোনও রোগ হবে না
আরও পড়ুন- সূর্যের রাশি পরিবর্তনের কারণে লাভবান হবে ৪ রাশি, জেনে নিন আপনার অবস্থা