চারমুখী রুদ্রাক্ষের গুনাগুন ও ধারণের ফলাফল

  • শাস্ত্রমতে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রভাব বর্তমান
  • হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থ হল ভগবান শিবের তৃতীয় চোখ থেকে জন্ম নিয়েছে যে উপাদান
  • নেপালের ভোজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি রুদ্রাক্ষ উৎপন্ন হয়
  • মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষের মধ্যেই ব্রহ্মার সমস্ত শক্তি নিহিত আছে

কার্তিক মাসের শেষ বা অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে রুদ্রাক্ষ গাছে ফল ধরা শুরু হয় । ফল এর উপরে গাঢ় নীল রঙের আবরণ থাকে যার ভিতরে রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। ভারতের উত্তর প্রদেশ, উত্তর কাশীর গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ক্ষেত্রে রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। এছাড়া তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, জাভা, সুমাত্রা, চীনের কিছু অংশে রুদ্রাক্ষ উৎপন্ন হয়ে। এর মধ্যে নেপালের ভোজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি রুদ্রাক্ষ উৎপন্ন হয়। সাধারণত ২১ রকমের রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। তবে ১৪ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ বিরল। বাজারে ১ থেকে ১৪ মুখী অবধি রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩,৪,৫ ও ৬মুখি রুদ্রাক্ষ বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া ত্রিজুতি, গৌরী শঙ্কর ও গণেশ নামেরও রুদ্রাক্ষ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে কিংবা বাজারের হিসেবে, একমুখী গোলাকার রুদ্রাক্ষ উৎকৃষ্ট। 
শাস্ত্রমতে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রভাব বর্তমান। তবে সব রুদ্রাক্ষের মধ্যে সেই বিশেষ গুণ থাকে না তা রয়েছে বিশেষ কয়েকটি রুদ্রাক্ষেই। হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থ হল ভগবান শিবের তৃতীয় চোখ থেকে জন্ম নিয়েছে যে উপাদান। রুদ্রাক্ষের মধ্যে বহু প্রকার শক্তি কেন্দ্রীভুত থাকে বলে মনে করা হয়। তবে জেনে নেওয়া যাক চারমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ সম্পর্কে।

এই রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের আত্মা স্বরূপ। তার চোখের মণি স্বরূপ। 

Latest Videos

ব্রহ্মার প্রভাবেই উৎপত্তি হয় এই রুদ্রাক্ষের। মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষের মধ্যেই ব্রহ্মার সমস্ত শক্তি নিহিত আছে। 

চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণকারী যদি ভক্তি সহকারে এই রুদ্রাক্ষ করেন তবে তিনি অসীম বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন।  

শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষকরে যে সমস্ত বিদ্যার্থী পড়াশোনায় অমনযোগী, এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তা ক্ষেত্র বিশেষে ফল দেয়।

চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে বলে মনে করা হয়। 

আর পড়ুন- দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ ও ধারণের উপকারীতা

সন্ন্যাসী ও সাধুদের মতে চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধর্ম ও মোক্ষ প্রদান করতে সাহায্য করে।

শুধুমাত্র সন্ন্যাসী ও সাধুদের জন্য নয়, গৃহস্থ ব্যক্তিদের জন্যও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চারমুখী রুদ্রাক্ষের মালা গলায় থাকলে শত্রুপক্ষ কোনও ক্ষতি করতে পারেনা।

আশ্রমে বসবাসকারী সাত্বিক ব্রাহ্মনের এই রুদ্রাক্ষ অবশ্যই ধারণ করা উচিৎ

এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানসিক অবস্থার স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।

দরিদ্র বা দুঃস্থ কোনও ব্যক্তি এই রুদ্রাক্ষ পুজো করলে, ধারণকারী শিবের বরে সে ধনী হয়ে যায়। 

এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে বহু জন্মের পাপ খণ্ডন হয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
জঙ্গি গ্রেফতারে কড়া বার্তা মিঠুনের | Mithun Chakraborty #shorts #mithunchakraborty #shortsvideo