শাস্ত্র অনুসারে, মার্শীর্ষ শুক্লপক্ষের একাদশীর তারিখ মোক্ষদা একাদশী নামে পরিচিত। মোক্ষদা একাদশী বছরের শেষ একাদশী। এই দিনটিতে অনেক শুভ যোগও করা হচ্ছে। মোক্ষদা একাদশীকে মোক্ষের জন্য একাদশী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই একাদশীকে ব্রত রাখার ও উপাসনা করার মাধ্যমে বহু জন্মের পাপ মুছে যায়। যার দ্বারা একজন ব্যক্তি মুক্তি পান। এই ব্রত পালনের মাধ্যমে পূর্বপুরুষরাও আশীর্বাদ লাভ করে। সুতরাং, একাদশী ধর্মকর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন- আপনার জন্ম মাস কি পৌষ, তবে আপনার মধ্যে এই রয়েছে এই বিশেষ গুণগুলি
একাদশীর উপবাসের গুরুত্ব
মোক্ষদা একাদশী উপবাসকে সর্বাধিক বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এই উপবাসটি সকল প্রকার পাপকে নির্মূল করে, ইচ্ছা পূরণ করে এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করে। মহাভারতের যুগে, শ্রী কৃষ্ণ একাদশীর গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন, সেই আমলে ভগবান কৃষ্ণ যুধিষ্ঠির এবং অর্জুনকে বলেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের জেদেই যুধিষ্ঠির একাদশী উপবাস পালন করে নিয়ম মেনে পুজো করেছিলেন। যার পরে তিনি মহাভারতের যুদ্ধে সাফল্য পান।
আরও পড়ুন- বছরের শেষ মাসে কতটা উন্নতি হবে কুম্ভ রাশির, দেখে নিন
মোক্ষদা একাদশী, তিথি এবং শুভ মুহুর্ত-
পঞ্জিকা অনুসারে, পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১১ টা বেজে ১৭ মিনিটে এই তিথি শুরু হবে। ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে একাদশীর তিথি সমাপ্ত হবে। একাদশী উপবাস পালন করা হবে ২৫ ডিসেম্বর এবং এই উপবাস দ্বাদশীর ২৬ ডিসেম্বরে সমাপ্ত হবে। এই দিনে শিব যোগ নির্মিত হচ্ছে, তাই এই সময় দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোও করা যাবে। স্নানের পর ব্রত শুরু হয়। এই দিন সকাল ও সন্ধ্যায় ভগবান নারায়ণের পুজো করুন। সকালের পুজো চলাকালীন নারায়ণকে হলুদ বস্ত্র এবং হলুদ মিষ্টি দিন।