পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি এই বিশেষ উৎসব। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। পৌষ মাসে সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) পালিত হয়। এই উৎসব উত্তরায়ণ নামেও পরিচিত। এবছর মকর সংক্রান্তির পড়েছে ১৪ জানুয়ারি। জেনে নিন পুজোর ইতি বৃত্তান্ত।
হিন্দু শাস্ত্রে একাধিক পুজো ও ব্রতর উল্লেখ আছে। শাস্ত্রে যেমন উল্লেখ আছে ভগবান শিবের পুজো (Lord Shiv), গণেশ পুজো (Lord Ganesh), দেবী পার্বতীর পুজো তেমনই উল্লেখ আছে গুরু গোবিন্দ জয়ন্তী, ইতু ব্রত, প্রদোষ ব্রত (Prodosh Vrat), স্কন্দ ষষ্ঠী ব্রতর মতো একাধিক ব্রত। এমনই হিন্দুদের একটি উল্লেখ যোগ্য উৎসব হল মকর সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি এই বিশেষ উৎসব। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। পৌষ মাসে সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) পালিত হয়। এই উৎসব উত্তরায়ণ নামেও পরিচিত।
মকর সংক্রান্তির শুভ মুহূর্ত
এবছর মকর সংক্রান্তির পড়েছে ১৪ জানুয়ারি। সংক্রান্তির পুণ্যকাল হল সকাল ৮.০৩ থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত। মহাপূণ্যকাল ৮.০৩ থেকে ৮.২৭ পর্যন্ত। এই সময় পূণ্য অর্জনের জন্য দান ও পবিত্র নদীতে স্নানের রীতি বহু বছর ধরে প্রচলিত।
পৌরাণিক কাহিনি
সূর্য বছরের বিভিন্ন সময় ১২টি রাশির মধ্যে দিয়ে যায়। যে রাশিতে সূর্য (Sun) প্রবেশ করে তাকে সেই সংক্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তেমনই, সূর্য মকর (Makar) রাশিতে প্রবেশ করলে বলা হয় মকর সংক্রান্তি। তবে, হিন্দু শাস্ত্রে মকর সংক্রান্তির বিশেষ গুরুত্ব আছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই তিথিতে সূর্য দেবতা তাঁর পুত্র শনির গৃহে আসেন। যেহেতু শনি মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি তাই বাবা ও ছেলের মিলন উপলক্ষে উৎসব হয়। অন্যদিকে প্রচলিত আছে, এই বিশেষ তিথিতে ভগবান বিষ্ণু অসুরদের বধ করেছিলেন। তাই বিজয় উৎসব হিসেবে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি।
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে এই কয়টি জিনিস দান করুন, সংসারে শান্তি বজায় রাখতে মেনে চলুন এই টোটকা
ঋতুর পরিবর্তন হয় মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিন। শীত কমে গিয়ে শুরু হয় বসন্ত। এদিন পুজিত হন সূর্য দেবতা। শাস্ত্র মতে, সূর্য হল আত্মা, পিতা, মান-সম্মান, সাফল্য, উন্নতি, সকলের প্রতীক। তাঁকে তুষ্ট করতে পারলে সব কার্যে সিদ্ধি লাভ করা সম্ভব। এরই সঙ্গে মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যলাভের জন্য পবিত্র নদীতে স্নানের রীতি বহু বছর ধরে প্রচলিত। পুণ্যলাভের জন্য লাখ লাখ মানুষ সাগরের জলে ডুব দেন। এই সময় গঙ্গা সাগর যাত্রা করেন ভক্তরা। সেখানে সাগরে স্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রম দর্শনের রীতি বহু যুগ ধরে প্রচলিত। পুরাণ অনুসারে, কপিল মুনি বিষ্ণুর অবতার। ব্রক্ষার পৌত্র মনুর বংশ ধর। তাই এই দিন তাঁর আশ্রম দর্শনে যান তীর্থযাত্রীরা।