২০২১ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে ১৯ নভেম্বর। এদিন সকাল ১১.৩৪-এ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে এবং বিকাল ৫.৩৩-এ গ্রহণ ছাড়বে। জ্যোতিষ মতে, ১৯ নভেম্বর দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন সতর্ক থাকতে হবে বৃষ রাশির (Taurus) জাতক জাতিকাকে।
২০২১ সালে প্রথম চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) হয় ২৬ মে। এটি ছিল পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। ভারত (India) ছাড়াও এই গ্রহণ দেখা গিয়েছিল পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর ও আমেরিকায়। দুপুর ২.১৭ থেকে ৭.১৯ পর্যন্ত চলেছিল এই গ্রহণ। এবার আসছে বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রণ। ২০২১ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে ১৯ নভেম্বর। এবছর শেষবার চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ যোগ তৈরি হয়েছে। এই গ্রহণ খুব অল্প সময়ের জন্য এবং শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতে দৃশ্যমান হবে। জ্যোতিষ (Astrology) মতে, ১৯ নভেম্বর দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন সতর্ক থাকতে হবে বৃষ রাশির (Taurus) জাতক জাতিকাকে।
আরও পড়ুন: বুধবারে ৬ রাশির কাজের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, দেখে নিন আজকের রাশিফল
জানা গিয়েছে, ১৯ অক্টোবর, ২০২১ শুক্রবার হবে এই চন্দ্রগ্রহণ। এদিন সকাল ১১.৩৪-এ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে এবং বিকাল ৫.৩৩-এ গ্রহণ ছাড়বে। এবার অরুণাচল প্রদেশ এবং আসামের উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে দেখা যাবে গ্রহণ। তবে, শুধু ভারতে নয়, এই চন্দ্রগ্রহণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা যাবে। দেখা যাবে, উত্তর ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। জ্যোতিষ মতে, চন্দ্রগ্রহণের সময়টুকু সকলের সতর্ক থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: Dhanteras 2021- কেন সোনা কেনা হয় ধনতেরাসের দিন, জেনে নিন এদিনে শুভ মুহূর্ত কখন
জ্যোতিষশাস্ত্রে গবেষণা দ্বারা উঠে এসেছে, বৃষ রাশিতে এই গ্রহণ সম্পন্ন হচ্ছে। তাই এদিন বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে বৃষ রাশির সকল জাতক-জাতিকাদের। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের ওপর গ্রহণের প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাঁদের গ্রহণের সময়টা ভগবানের সামনে বসে ধ্যান করা প্রয়োজন। এতে সকল বাঁধা-বিপত্তি কেটে যাবে। এদিকে, ২০২১ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণের পর রয়েছে সূর্যগ্রহণ। ২০২১ সালে ১৯ নভেম্বর চন্দ্রগ্রহণ শুরু ও সম্পন্ন হবে। এরপর ৪ ডিসেম্বর হবে সূর্যগ্রহণ। তবে, জ্যোতিষ মতে সূর্যগ্রহণ কোনও রাশির ওপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবে, চন্দ্রগ্রহণের সময় সতর্ক থাকা উচিত।
এখন জেনে নিন চন্দ্রগ্রহণের সময় কী কী করবেন না। প্রথমত, চন্দ্রগ্রহণের সময় শারীরিক মিলন না করাই ভালো। বলা হয়, এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের বাইরে বের না হওয়া উচিত না। গ্রহণের সময় পরিবেশের কিছুক্ষতি হয়। আর এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে গর্ভস্থ বাচ্চার ওপর। এছাড়াও, গ্রহণের সময় খাবার না খাওয়াই ভালো। এ সময় পৃথিবীতে যে রশ্মি প্রবেশ করে, তার থেকে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই গ্রহণের সময় রান্না করা ও খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এবং চেষ্টা করুন সব খাবার ঢেকে রাখতে।