এই বিশ্ব বিখ্যাত মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা হয়েছে। পুরীর এই পৌরাণিক মন্দিরটি নিজেই বেশ অতিপ্রাকৃত। ৮০০ বছরেরও বেশি পুরানো এই পবিত্র মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক রহস্যময় এবং অলৌকিক জিনিস রয়েছে যা আশ্চর্যজনক। এমনকি বিজ্ঞানের কাছেও এর উত্তর নেই।
যেখানে বদ্রীনাথ ধামকে বিশ্বের ধারক ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম বৈকুণ্ঠ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সেখানে জগন্নাথ ধামকে পৃথিবীর বৈকুণ্ঠ রূপ হিসাবেও মনে করা হয়। ওড়িশার উপকূলীয় শহর পুরীতে অবস্থিত, এই বিশ্ব বিখ্যাত মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা হয়েছে। পুরীর এই পৌরাণিক মন্দিরটি নিজেই বেশ অতিপ্রাকৃত। ৮০০ বছরেরও বেশি পুরানো এই পবিত্র মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক রহস্যময় এবং অলৌকিক জিনিস রয়েছে যা আশ্চর্যজনক। এমনকি বিজ্ঞানের কাছেও এর উত্তর নেই।
মন্দিরের চূড়ার ধ্বজা হাওয়ার উল্টোদিকে উড়ে
সাধারণত দিনের বেলা সমুদ্রের দিক থেকে পারে এবং সন্ধ্যায় পারের দিক থেকে সমুদ্রে বাতাস প্রবাহিত হয়, তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে এখানে এই প্রক্রিয়াটি বিপরীত। মন্দিরের পতাকা সব সময় বাতাসের বিপরীতে উড়ে। যে দিকে বাতাস বইছে তার বিপরীত দিকে পতাকাটি উড়ছে।
মন্দিরের রান্নাঘরের রহস্য
কথিত আছে, জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রান্নাঘর। মন্দিরের এই রান্নাঘরের রহস্য হল এখানে ঈশ্বরের প্রসাদ প্রস্তুত করার জন্য একটির উপরে একটি পাত্র করে সাতটি পাত্র বসিয়ে ভোগ রান্না করা হয়। এই পাত্রগুলো মাটির তৈরি যাতে কাঠের আগুনে প্রসাদ রান্না করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল এই সময়ে উপরে রাখা পাত্র প্রথমে রান্না হয়, তারপর নিচ থেকে একের পর এক প্রসাদ রান্না হয়। লক্ষাধিক ভক্ত এলেও প্রসাদ কখনো কম পড়ে না, বৃথা যায় না। মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় মত প্রসাদও শেষ হয়ে যায়।
মন্দিরের ছায়া দেখা যায় না
জগন্নাথ মন্দির প্রায় চার লাখ বর্গফুট এলাকায়। এর উচ্চতা ২১৪ ফুট। যে কোনও বস্তু বা মানুষ, পশু-পাখির ছায়া হওয়াটাই বিজ্ঞানের নিয়ম। কিন্তু বিশ্বের প্রভু জগন্নাথের মন্দিরের উপরের অংশ বিজ্ঞানের এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে। এখানে মন্দিরের চূড়ার ছায়া সব সময়ই অদৃশ্য। কোনও ভাবেই এই মন্দিরের ছায়া মাটিতে দেখা যায় না।
১২ বছরে প্রতিমা পরিবর্তন করা হয়
এখানে প্রতি ১২ বছর পর পর তিন মূর্তি অর্থাৎ জগন্নাথ, বলরাম (বলদেব) এবং দেবী সুভদ্রার মূর্তি পরিবর্তন করা হয়। নতুন মূর্তি স্থাপন করা হয়। প্রতিমা পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত একটি আকর্ষণীয় উপাখ্যানও রয়েছে। মন্দিরের চারপাশে সম্পূর্ণ অন্ধকার। শহরের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে করা হয়। মন্দিরের বাইরে সিআরপিএফ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয় এই সময়। মন্দিরের ভিতরে শুধুমাত্র পুরোহিতকে মূর্তি বদলানোর অনুমতি দেওয়া হয় তাও চোখ বেঁধে হাতে দস্তানা পরিয়ে।
আরও পড়ুন- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় আজও রয়েছে জনপ্রিয় এই মন্দিরে,
আরও পড়ুন- ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা, জেনে নিন আকর্ষণীয় এই পবিত্র গুহার রহস্য
আরও পড়ুন- এই ভুলগুলো একজন মানুষকে গরীব করে দিতে পারে, যা অজান্তেই করে থাকে অনেকে
মন্দিরের উপরে পাখি দেখা যায় না
সাধারণত মন্দির, মসজিদ বা বড় বড় ভবনে পাখিদের বসতে দেখা যায়। কিন্তু পুরীর মন্দিরের ওপর দিয়ে কোনও বিমান উড়ে না, মন্দিরের চূড়ায় কোনও পাখি বসে না। ভারতের অন্য কোনও মন্দিরে এমনটা দেখা যায় না।