৭ দিন আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয় হাজার বছরের পুরনো এই মন্দির, এর রহস্য আজও অজানা

Published : May 20, 2020, 01:27 PM IST
৭ দিন আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয় হাজার বছরের পুরনো এই মন্দির, এর রহস্য আজও অজানা

সংক্ষিপ্ত

কানপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত  এক হাজার বছরের পুরনো এই মন্দির এখানে বিষ্ণুর মোট ২৪ টি অবতারের মূর্তি স্থাপন করা বর্ষা আসার আগে থেকেই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়তে থাকে

উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীণ মন্দির। এটি মন্দিরটি গ্রাম উন্নয়ন ব্লকের আওতায় পড়ে। জনশ্রুতি প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো এই মন্দির। এই মন্দিরটিতে এক হাজার বছরের পুরনো ভগবান জগন্নাথের মূর্তিতেই আজও পুজো হয়।  এই মন্দির নিয়ে চলেছে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। তার কারণ হয় এক অবাক করা রহস্য, যার কারণ আজও অজানা। 

আরও পড়ুন- জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম অমাবস্যায় শনি জয়ন্তী, রাশি অনুযায়ী জেনে নিন এই দিন কি করা উচিত নয়

 গ্রামের উন্নয়ন ব্লক ডেভেলপমেন্ট এর কর্তৃপক্ষ সৌরভ বার্নওয়াল ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, এই মন্দিরটি তিন ভাগে তৈরি করা হয়েছে। গর্ভগৃহের একটি ছোট্ট অংশ এবং তারপরে আরও দুটো বড় অংশ রয়েছে। এই তিনটি অংশ বিভিন্ন আমলে তৈরি হয়েছে। এই মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুরও একটি মূর্তি স্থাপন করা রয়েছে। এখানে বিষ্ণুর মোট ২৪ টি অবতারের মূর্তি স্থাপন করা আছে। এই মন্দিরের রহস্যটি হল বর্ষা আসার ৫ থেকে ৭ দিন আগে থেকেই এই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে মন্দিরের ভেতরে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে থাকে। সারা বছরে আর কখনোই এমনটা হতে দেখা যায় না।

 

অনেক পড়ুন- নিজের মনের মত শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে, মনে রাখুন জ্যোতিষশাস্ত্রের নিয়মগুলি

মন্দিরের পুরোহিত কেপি শুক্লা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, "যে এখানে ভগবান জগন্নাথের প্রতিমা রয়েছে। মন্দিরের ছাদটি পাথর দ্বারা আবৃত। এই পাথর থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল বৃষ্টি কেমন হবে তার একটা আগাম ধারণা দেয় গ্রামবাসীকে। তবে এটি কোনও অলৌকিক বিষয় কি না তা জানা নেই। এখনও অবধি এই বিষয় নিয়ে বহু রিসার্চ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁধের মতে মন্দিরটি নির্মাণের সময় সম্ভবত মন্দিরের দেয়াল এবং ছাদ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে তারা বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই জানান দিতে পারবে। তবে অনুমান করলেও তাঁরা উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি।"

 

জানা গিয়েছে এই মন্দিরের দেওয়ালগুলি ১৫ ফুট প্রশস্ত। ভারতের প্রত্নতাত্ত্ববিদ, লখনউয়ের সিনিয়র সিএ মনোজ ভার্মা বলেছেন যে, 'এই মন্দিরটি বহুবার ভেঙে নির্মান কার্য করা হয়েছে। এখানে অনেকে গবেষণাও করেছেন। বেশিরভাগ গবেষণা অনুমান করে যে এই মন্দিরটি নবম-দশম শতাব্দীরও প্রাচীণ। মন্দিরের দেয়ালগুলি প্রায় ১৫ ফুট প্রশস্ত। মন্দিরটি তৈরি হয়েছে  চুনাপাথর ব্যবহার করে। ফলে বৃষ্টির আগে থেকেই আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, চুনটি বায়ুমণ্ডল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে। এই আর্দ্রতা পাথর পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং পাথর থেকে জল ফোঁটা ফোঁটা শুরু করে। যখনই বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় তখন বৃষ্টি হয়। এই কারণে এই মন্দিরটিকে 'বর্ষা মন্দির'  ও বলা হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদে পাথরটিকে বর্ষার পাথর বলা হয়। । তবে এই পাথরটি কোনও বিশেষ প্রজাতির নয়, এটি একটি সাধারণ পাথর।'

PREV
click me!

Recommended Stories

Love Horoscope: সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত নিতে হতে পারে! দেখে নিন আপনার আজকের প্রেমের রাশিফল
Money Horoscope: অর্থ উপার্জনের একাধিক সুযোগ পাবেন! দেখে নিন আজকের আর্থিক রাশিফল