বাঙলা প্রবাদে রয়েছে ‘কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।’ এদিন থেকেই হয় অম্বুবাচী শুরু। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ, পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন।
২ বছর পর ত্রিপুরার মা কামাখ্যা ধামে শুরু হয়ে গিয়েছে অম্বুবাচী মেলার প্রস্তুতি। এই বছর নিয়ে মা কামাখ্যা ধামে ধামের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। এই সময় একদিনের উৎসবকে দুই দিন করার সিদ্ধান্ত হয়। উৎসবটি ২২ জুন থেকে ২৬ জুন পালিত হবে।
অম্বুবাচী উৎসব
বাঙলা প্রবাদে রয়েছে ‘কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।’ এদিন থেকেই হয় অম্বুবাচী শুরু। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ, পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন। অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের মাংগলিক কার্য করা যায়না। চতুর্থ দিন থেকে মঙ্গলিক কাজে কোনো বাধা থাকেনা। অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে। এই বছর অম্বাবুচী উৎসব পালন করা হবে ২২ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত-
দুই বছর আয়োজন করা যায়নি
মা কামাখ্যা ধামে অনুষ্ঠিত সভায় মা কামাখ্যা ধামের চেয়ারপার্সন মহেশ স্বরূপ ব্রহ্মচারী বলেন, করোনার কারণে দুই বছর উৎসব হতে পারেনি। এই বছর ২২ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ভক্তদের ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে উৎসব দুদিন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন ২৫ ও ২৬ জুন ভক্তরা মায়ের বিশেষ দর্শন পাবেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ যাদব, নীলকমল যাদব, কেপি সিং, সতীশ মিশ্র, সুরেশ গুপ্ত, মুকেশ শর্মা, সাধু যাদব, মহেশ আগরওয়াল, রামদত্ত দীক্ষিত, মুন্না গুপ্ত, বসন্ত গুপ্ত, বিনোদ পাচৌরি, বিষ্ণু যাদব, সুধীর লেকপাল, জে কে পাচৌরি।
উৎসবটি ৩৮ বছর ধরে পালিত হচ্ছে
মা কামাখ্যার দেবতা ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে জাসরানায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ধামের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী মাধবানন্দের নির্দেশে ১৯৮৫ সালের জুন মাসে প্রথম অম্বুবাচী উৎসব পালিত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর জাসরানায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন- ২৭ জুন রাশি পরিবর্তন করবে মঙ্গল, জীবনে সুখ ও শান্তি আসবে এই ৩ রাশির
আরও পড়ুন- কালসর্প দোষের প্রভাবে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে জীবন, জেনে নিন এই দোষ কাটান
আরও পড়ুন- নক্ষত্র পরিবর্তন করেছে রাহু, এর ফলে সুখে ভরে উঠবে এই ৩ রাশির ভাগ্য
উৎসবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন
অম্বুবাচী উৎসব চলাকালীন ২২ জুন কামাখ্যা মায়ের গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকবে। মায়ের গর্ভগৃহের দরজা ২৫ জুন খুলে দেওয়া হবে। ২২ থেকে ২৬ জুন উদযাপিত অম্বুবাচী উৎসবে হাজার হাজার লোকের সমাগম হবে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, বিহার থেকেও আশেপাশের জেলাগুলি-থেকে লক্ষাধিক মানুষ মা কামাক্ষাকে দর্শণ করতে পারেন।