বিজ্ঞাপনের কথায় না ঝুঁকে ই-স্কুটার কেনার সময় কয়েকটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখুন। দেখবেন এতে বাইক কেনার পর আপনার কোনও সমস্যা হবে না।
বাজারে এখন ইলেকট্রিক স্কুটারের রমারমা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর তা হবে নাই বা কেন! বাইকে পেট্রোলের ভরাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। সেই কারণে ই-স্কুটারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। তার মধ্য়েই বাজারে আসতে চলেছে নেদারল্যান্ডের সংস্থা ওলার তৈরি ইলেকট্রিক স্কুটার। কালো, গোলাপি, হালকা নীল ও সাদা রঙে পাওয়া যাবে এই স্কুটার। এখন থেকেই এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কোনও শেষ নেই। সবথেকে বড় বিষয় হল এই স্কুটারে নাকি ০ থেকে ৫০ শতাংশ চার্জ হতে মাত্র ১৮ মিনিট সময় লাগে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। আর সেই চার্জ নিয়ে ৭৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যাবে।
তবে বিজ্ঞাপনের কথায় না ঝুঁকে ই-স্কুটার কেনার সময় কয়েকটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখুন। দেখবেন এতে বাইক কেনার পর আপনার কোনও সমস্যা হবে না।
ইস্কুটারের ক্ষেত্রে চার্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুরো চার্জ হওয়ার পর সেটা কতটা পথ অতিক্রম করতে পারবে তা জেনে নিন। কারণ এক একটি স্কুটার ভিন্ন ভিন্ন পথ অতিক্রম করতে পারে। তাই আপনার যদি বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে এমন স্কুটারের প্রয়োজন হয় তাহলে সেটাই কিনুন।
এই স্কুটারের ক্ষেত্রে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার একটা সমস্যা থাকে। তাই কোথায় চার্জ দেওয়া যায় তা আগে থেকেই দেখে নিন। কারণ বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে পুরো চার্জ দিলেও অনেক সময় রাস্তায় চার্জ ফুরিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জেনে নেবেন কোথায় চার্জ দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- বিশ্বের দ্রুততম স্থলযান, বিমানকেও হার মানাচ্ছে - 'ম্যাগলেভ' পরিষেবা চালু করল চিন, দেখুন
চার্জের পাশাপাশি গতিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই স্কুটারগুলির গতি সব সময় খুব একটা হয় না। তাই স্কুটার কেনার আগে গতির কথা অবশ্যই জানুন। কারণ গতি যত বেশি হবে ততই দাম বাড়বে। তবে আপনার যেটা প্রয়োজন তেমন গতি যুক্ত স্কুটার কিনুন।
ই-স্কুটারগুলি সাধারণত খুব হালকা হয়। তাই এই স্কুটার কতটা ওজন নিতে পারে সেটা দেখে নেবেন। কারণ যাঁদের ওজন খুব বেশি বা কোনও ভারী জিনিস এই স্কুটারে বহন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে চাকা বসে যেতে পারে।
এক একটি ই-স্কুটারের এক এক ধরনের গতি হয়ে থাকে। তবে ঘণ্টায় ২৫ কিমির কম গতি হলে সেক্ষেত্রে কোনও লাইসেন্স লাগে না। তাই আপনার ই-স্কুটারের গতি অনুযায়ী তার জন্য লাইসেন্স লাগবে কিনা তা জেনে নেবেন। কারণ লাইসেন্স ছাড়া নতুন স্কুটার নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যদি পুলিশের কথা শুনতে হয় তাহলে কার ভালো লাগে বলুন।