কোথায় পাটের আঁশ, আর কোথায় রেসিং কার। আর এই দুইয়ের সংযোগ ঘটিয়ে তাক লাগালেন বাংলাদেশের খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা।
কোথায় পাটের আঁশ, আর কোথায় রেসিং কার! দূরদূরান্ত অবধি ই দুই বস্তুর কোনও সংযোগ না থাকলেও, তা ঘটালেন বাংলাদেশের খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার সম্প্রতি েকটি রেসিং কার তৈরি করেছেন, যার বডি েবং বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করা হয়েছে পাটের আঁশ বা জুট ফাইবার। ফর্মুলা কারের আদলে তৈরি করা এই রেসিং কারের নাম তারা দিয়েছেন 'কিলোফ্লাইট আলফা'। আসলে গাড়ি প্রস্তুতকারক শিক্ষার্থীদের দলটির নাম, 'কিলোফ্লাইট'।
'ফর্মুলা স্টুডেন্ট ইউকে' নামে ইংল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের তৈরি রেসিং কারের েকটি প্রতিযোগিতা হয়। কিলোফ্লাইট দলের অন্যতম সদস্য অম্লান বিশ্বাস জানিয়েছেন, সেই প্রতিয়োগিতাকে লক্ষ্য করেই গাড়িটি তৈরি করেছিলেন তারা। তিন বছর সময় লেগেছে গাড়িটি তৈরি করতে। সমস্যা হয়েছিল, প্রতিয়োগিতায় অংশ নেওয়া নিয়ে। কারণ সেই কোভিড। করোনার রেডজোনে থাকার কারণে আয়োজকরা শেষ পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো কয়েকটি দেশকে অনলাইন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ইবারের প্রতিযোগিতায় ৬৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশের দল কিলোফ্লাইট ৩তম স্থান লাভ করে। প্রসঙ্গত ই প্রথম বাংলাদেশ থেকে কোনও দল ই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। প্রথবারের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে, তারা পরের বছরও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে।
কিন্তু, পাটের আশ দিয়ে গাড়ি, তাও আবার রেসিং কার তৈরির ভাবনা কীকরে তাদের মাথায় েল? বাংলাদেশের ই কৃতি ছাত্ররা জানিয়েছেন, প্রথমত গাড়িটির বডিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ তারা পরিবেশবান্ধব কোনও পদার্থ দিয়ে তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তাদের লক্ষ্য এই গাড়ির মাধ্যমে, বাংলাদেশে ধুকতে থাকা পাটশিল্পকে ফের নতুন উচ্চতায় তুলে ধরা। ২০১৮ সাল থেকে কাজ করতে করতে চলতি বছরের জুলাই মাসে গাড়িটি তৈরি শেষ হয়েছিল। ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিয়েছে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান েবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাই। গাড়িটির বডি তৈরি করা হয়েছে অ্যারো জুট ফাইবার কম্পোজিট দিয়ে। ই গাড়ি বাংলাদেশকে অটোমোবাইলে খাতে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করছে তারা।
আরও পড়ুন - রান্না খারাপ বলেই জ্বালিয়ে দেওয়া হল আফগান মহিলাকে, কফিনে করে যৌনদাসী পাচার করছে তালিবান
আরও পড়ুন - Afghanistan - 'পাকিস্তানের গ্রাস করার কিংবা তালিবানদের শাসনের পক্ষে অনেক বড় দেশ'
আরও পড়ুন - আপন মেয়ের চোখ উপড়ে নিতেও কসুর করেনি তালিবানি বাবা, পুলিশ হতে চেয়েছিল খাতেরা হাশেমি
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মহম্মদ সাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আড়াই বছরের এই প্রকল্পের শুরু থেকেই ছাত্রদের অ্যাকাডেমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে পথ দেখিয়েছেন আরেক অধ্যাপক ড. মহম্মদ মাসুদ। ২৮ জনের েকটি দলকে এই বিষয়ে তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এরপর সেই ছাত্ররা নিজেরাই গাড়িটির নকশা তৈরি করেছিল। তারপর সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে কাজটি সম্পন্ন করে। শিক্ষকরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছেন।