টিপ পরা নিয়ে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। টিপ পরার জন্য এক শিক্ষিকাকে হেনস্থা করা হয়ে। তা নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন তসলিমা নাসরিন।
টিপ পরায় আপত্তি। তাই নিয়ে উত্তাল বাংলাশে। কপালে টিপ বা বিন্দি থাকার কারণে এক শিক্ষিকাকে হেনস্থা করা হয়। সেই হেনস্থাকারীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই অবস্থায় থেকে মুখ খুলেছেন প্রতিবাদী লেখিকা। সঙ্গে নিজের টিপ পরা বেশ কিছু ছবিও আপলোড করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
টিপ পরায় হেনস্থা করা হয়েছিল শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে। সুদূর প্রবাস থেকেই তিনি লতা পাশে দাঁড়িয়ে আরও একবার প্রতিবাদী কলম হাতে তুলে নিয়ে বলেছেন, টিপ- মহিলাদের প্রসাধনের একটি বিশেষ বস্তু। মেয়েরা কিন্তু অনেক রকমভাবে সাজতে পারে। কিন্তু দুঃখের কথা হল ছেলেদের কাছে সাজার মত কোনও সরঞ্জাম নেই। তারপরই তসলিমা বলেন পুরুষরা কাল্পনিক ঈশ্বরকে তুষ্ট করার জন্য আর কাল্পনিক স্বর্গে যাওয়ার জন্য কপাল ঠুকে ঠুকে কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে কপালে। - ওটাই নাকি ওদের অরাৎ পুরুষদের কালো টিপ।
মহিলাকে সাধারণ একটি ছোট্ট টিপ পরার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি এক মহিলাকে হেনস্থা করে। যা নিয়ে রীতিমত বিরক্ত তসলিমা। তিনি বলেছেন, মেয়েরা নিজের অনেক অলঙ্কারে সুন্দর করে সাজাতে পারে। কিন্তু ছেলেরা হাইহিল, মিনিস্কার্ট, শাড়ি , এমনকি টিপ এসব কিছুই পরতে পারে না।
শনিবার থেকেই টিপকাণ্ডে রীতিমত উত্তাল বাংলাদেশ। ঢাকার তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে এক পুলিশ অফিসার প্রশ্ন করেন তাঁর টিপ নিয়ে। জানতে চান লতা কেন টিপ পরেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে লতা কটূক্তি করেন। তারপরই পুলিশ অফিসার বিরক্ত হয়ে মহিলার গায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দেন। তারপরই মহিলা স্থানীয় শের -এ - বাংলা নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়ন। তবে এমন ঘটনা যে অনভিপ্রেত তা স্পষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ।