গুরুদক্ষিণা, দাদার কীর্তি, ভালবাসা-ভালবাসা, সাহেব-সহ একাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। ১৯৮৬ সালে মাধুরী দিক্ষীত-এর বিপরীতে 'অবোধ' ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। বরং একথা বলা ভাল, যে তাপস পালের হাত ধরেই বলিউডে কাজে নামেন মাধুরী। তিনিই বাঙালি অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহল থেকে টলি পাড়ায়।
তাঁৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডে। অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ সকলেই গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। অভিনেতা চিরঞ্জিৎ জানিয়েছেন, "বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাপস পাল-এর মত এমন এক অভিনেতার জীবনের শেষটা অত্যন্ত মর্মান্তিক।" অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, "এমন শক্তিশালী অভিনেতা খুব কম এসেছে, বাংলা ছবি যতদিন থাকবে, তিনি ততদিন থাকবেন। এত তাড়াতাড়ি তিনি ছেড়ে চলে যাবেন বিশ্বাস হচ্ছে না।"
অভিনেতা তাপস পালের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেতা জিৎ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। টুইট করে তিনি লিখেছেন, তাপস পালের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি অত্যন্ত দুঃখ ও হতবাক। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা।
এমন এক দাপুটে অভিনেতা-কে এত তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেলতে হবেন, তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক শোকবার্তায় ভরে গিয়েছে। এমন এক পরিণতি হবে এই দাপুটে অভিনেতার, সে কথা বোধহয় কল্পনা করেননি কেউই। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ছিলেন ভেন্টিলেশনে। সোমবার অবস্থার অবনতি হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।