আরও কঠিন হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা। পরিস্থিতি যা তাতে হয়তো আজকেই তাঁকে পুরোপুরি ভেন্টিলেশনের আওতায় আনতে হতে পারে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আপাতত কোভিড মুক্ত। কিন্তু, বার্দ্ধক্য ও শরীরে থাকা কো-মরবিডিটি রেট অভিনেতার শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রক্তে বেড়ে গিয়েছে ইউরিয়ার পরিমান। আচ্ছন্নতার ঘোর কিছুতেই কাটছে না। মাঝে মিউজিক থেরাপি দিয়ে অভিনেতার স্নায়বিক প্রতিবর্তক্রীয়াকে সক্রিয় করার চেষ্টা চলছিল। মিউজিক থেরাপিতে সাড়াও দিচ্ছিলেন সৌমিত্র। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলতে পারছিলেন। মানুষজনকে চিনতেও পারছিলেন। কিন্তু, রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের স্নায়বিক সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় সৌমিত্র-র আচার-আচরণে সেই স্বাভাবিকতা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- ধর্মের নামে রাজনীতিকে ধিক্কার, বামপন্থাই বিকল্প বলে মনে করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
রবিবার রাতে বর্ষিয়াণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে তাঁর রক্তে ইউরিয়ার পরিমান যেমন বাড়ছে, তেমনি কমে গিয়েছে অনুচক্রিকা। এছাড়াও সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যের সমস্যাও রয়েছে সৌমিত্রর। বয়স এবং শরীরে থাকা অন্যান্য রোগের কারণে পরিপার্শ্বিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। শরীরে খোঁজ মিলছে সেকেন্ডারি ইনফেকশনেরও। রক্তে মাঝে-মাঝেই কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা। যার ফলে তখন টেম্পোরারি ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে। মূলত বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে কিছুক্ষণ রেখে ফের সৌমিত্রকে ভেন্টিলেশনের বাইরে রাখার একটা চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। কিডনি ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে কোয়েল, রাজ, সন্দীপ রায়, কোভিডকে জয় করেছেন যাঁরা
হাসপাতাল থেকে দাবি করা হয়েছে, সৌমিত্র-র চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় বাধা স্নায়বিক সমস্যা এবং মস্তিষ্কের সংক্রমণ যা কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি নামে পরিচিত। ক্রমাগত চেতনা শক্তি লোপ পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সৌমিত্রর বয়স এবং আনুষাঙ্গিক রোগগুলিই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যদিও, আশার আলো, সৌমিত্রর লিভার, হৃদযন্ত্র-সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ এখনও সচল রয়েছে।