দিল্লি জ্বলছে। আর তার আঁচ এসে পড়েছে সারা বিশ্ব। প্রতিবাদ চলছে, চলবে। পরিস্থিতি ক্রমশ যেন জটিল হচ্ছে। ছাত্র থেকে নাগরিক, শিল্পীসমাজ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। এমনকী আক্রান্তরাও থেমে নেই। তারাও প্রকাশ্য রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি। একের পর এক টুইটে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। সিএএ, এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রত্যেকেই। বুদ্ধিজীবি মহলের একাংশ এই নিয়ে আওয়াজ তুললেও শেষমেষ কোনও লাভ হয়নি। বলিউডেও অনুরাগ থেকে স্বরা আওয়াজ তুললেও সেখানেও একই অবস্থা। বাদ পড়েনি টলিউড। সৃজিত, পরমব্রত, অনির্বাণ, মিমি, নুসরত প্রত্যেকেই মুখ খুলেছেন।
আরও পড়ুন-বাংলা সিনেমার অন্যতম সফল জুটি, কেমন ছিল তাপস- শতাব্দীর সম্পর্ক...
জাভেদ আখতারের পর এবার দিল্লি নিয়ে বিস্ফোরক গুলজার। তবে সকলের মতোন পথে নেম নয়, তার প্রতিবাদ উঠে এসেছে তার কলমে। হিংসার নামে কলমে প্রশ্ন তুলে তিনি জানিয়েছেন, 'নয় বছরের যে শিশুটিকে মেরে ফেলা হল, তার কী দোষ ছিল?' তবে শুধু এই ঘটনার কথাই নয়, তার লেখনিতে উঠে এসেছে আরও অনেক প্রশ্ন। তিনি আরও বলেছেন, 'কেউ তার ধর্ম নিজের ইচ্ছামতো বেছে নেয় না । ধর্ম উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। কেউ কারওর বাবা-মা নির্বাচন করতে পারে না। ছিক একই ভাবে কেউ কারোর দেশও নির্বাচন করতে পারে না। দিল্লিতে যে নয় বছরের শিশুটিকে মেরে ফেলা হল, তার কী দোষ ছিল? কেন তাকে মৃ্ত্যপর মুখে ঠেলে দেওয়া হল?'
আরও পড়ুন-'অন্তত নিজের সাইজের পোশাক পরুন', খোলামেলা পোশাকে এবার ট্রোল্ড জাহ্নবী...
আরও পড়ুন-'থাপ্পড়' বয়কটের ডাক, আক্রমণের মুখে তাপসী পান্নু...
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে গুলজারের লেখা এই কবিতা। তার এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন নেটিজেনরা। কবিতার শুরুতেই তিনি লিখেছেন, 'শান্তির জন্য অপেক্ষা করছি।'নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি। কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বাধে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পাথরবৃষ্টি। মোটরসাইকেল থেকে বিভিন্ন জিনিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ব়্যাপিড ফোর্স আসে ঘটনাস্থালে। এছাড়া উদ্ধার করা হয় কার্তুজের খোলাও। শেষ কয়েকদিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে একাধিক স্কুল। এমনকী সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করায় মেট্রো স্টেশনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। আর কতদিন ধরে চলবে এই অবস্থা তা কারোরই জানা নেই। ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিনোদন জগতের একাংশরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।