ঋষি কাপুর এবং নীতু সিং এর তখনও এক হয়নি পদবি। মানে তখন সাত পাকে বাঁধা পড়েননি তখনও। যদিও পড়াটা অত সহ ছিল না। একদিকে কাপুর পরিবারের কড়া নিয়ম। অপর দিকে, ঋষির সঙ্গে নীতু কোথাও ডেটে গেলে, নীতুর মা রাজি সিং তাঁদের সঙ্গে পাঠিয়ে দিতেন নীতুর ভাইকে। তবে তাঁদের ভালোবাসার মধ্য়ে কিছু ঘটনা অবশ্য় ফিল্মি ছিল। এনগেজমেন্টে দেওয়ার মত আঙটিও ছিল না ঋষির কাছে। তাই ধার করেছিলেন আঙটি, স্বয়ং ঋষি কাপুর। তাই বাধা তো বিলক্ষণ ছিল। তবে দীর্ঘ প্রেম পর্বে সে বাঁধা যে কিছুই আসর জমাতে পারেনি, তার প্রমাণ তামাম ভারতবাসী দেখেছে।
অন্যের কাছ থেকে আংটি ধার করে ঋষি কাপুর পরিয়ে দিয়েছিলেন নীতু সিং-এর অনামিকায়। অবশেষে কপূর পরিবারের তরফেই বাগদানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ১৯৭৯ সালে দিল্লিতে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎই আংটি বদল হল ঋষি ও নীতুর। এ কথা জানার পরেও নীতু তাঁকে ছেড়ে যাননি। তিনি এতটাই ভালবাসতেন ঋষি কাপুরকে। টানা ৪ বছর চলল প্রেমপর্ব। তিনি নাকি শুধুই ডেট করবেন বলে নীতুকে জানালেন ঋষি।
কমিটমেন্টের আতঙ্কে বিয়ের ধারেকাছেই গেলেন না ঋষি কাপুর। অপরদিকে বিয়ের সিদ্ধান্তে নীতুর মনেও সংশয় ছিল। তিনি শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে মাকে বা দেখবে কে । এই সমস্যার সমাধান করেন ঋষি কাপুরই। তিনি রাজীকে প্রস্তাব দেন বিয়ের পরে তাঁদের সঙ্গে থাকার জন্য়। ঋষি ও নীতুর সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল নীতুর মা রাজী সিংহের। কারণ নীতু ই সংসারের একমাত্র উপার্জকারী ছিলেন। তবে সব সমস্য়ার শেষ পর্যন্ত সমাধান আসে। কমিটমেন্টের আতঙ্ক কাটিয়ে শেষে আর না পেরে ঋষি টেলিগ্রাম করেন নীতুকে। টেলিগ্রাম পেয়ে নীতু আনন্দে আত্মহারা। এতদিনে প্রেমিক মনের কথা জানাল বোধয়। ১৯৮০ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ঋষি-নীতু। এরপর পদবি মিলে মিশে একাকার।