অভিনেত্রী মীনাকুমারীর স্মৃতি আজও অমলিন, মুছে গেছে তাঁর কবি পরিচয়

  • বলিউডের ট্রাজেডি কুইন মীনাকুমারীর আজ ৮৭ তম জন্মদিন
  • বলিউডের কিংবদন্তি হয়েও তিনি ছিলেন একজন কবি
  • একাধিক কবিতা, গজল, শায়েরির সম্ভার ছিল এই অভিনেত্রীর
  • গীতিকার, চিত্র পরিচালক গুলজারের সঙ্গে মীনাকুমারীর গভীর বন্ধুত্ব ছিল

চান্দ তানহা হ্যায় আসমা'ন তানহা / দিল মিলা হ্যায় কাহা কাহা তানহা / জিন্দেগি কেয়া ইসি কো কেহতে হ্যায় / জিসম তানহা হ্যায় অওর জান তানহা / রাহ দেখা কারেগা সাদিয়ো তক / ছোড় যায়েঙ্গে ইয়ে জাঁহা তানহা। এই শায়েরি লিখেছিলেন রূপালি পর্দার এক কিংবদন্তি নায়িকা। সিনেমা দুনিয়ার জাঁকজমক, জনপ্রিয়তা, গুঞ্জনের বাইরেও তিনি ছিলেন এক নিমগ্ন কবি, প্রেমে অপ্রেমে নিঃসঙ্গতার কবি। প্রেমানুভূতি থাকলেও, জীবন ও মৃত্যুভাবনা বড় বেশি স্পষ্ট তাঁর শায়েরিতে। 

আরও পড়ুন-সুবিচার কি মিলবে, ভাইয়ের মৃত্যুর বিচারের আশায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ সুশান্তের দিদি শ্বেতা...

Latest Videos

এক সময়ের ডাকসাইটে সেই অভিনেত্রীর সামনে দাঁড়ালে দীলিপ কুমার তাঁর মনোযোগ ধরে রাখতে হিমশিম খেতেন, রাজ কুমার সংলাপই ভুলে যেতেন। তাঁর কণ্ঠ আর অভিনয়ের ভক্ত ছিলেন খোদ মধুবালা। নিজের রচিত শায়েরির মতো ব্যক্তিজীবনেও বয়ে বেড়িয়েছেন নিঃসঙ্গতা আর একাকিত্ব। নিজের সময়ে বলিউডের কিংবদন্তি হয়েও এবং তাঁর সময়ের একবেরেই অন্যরকম অভিনেত্রী হয়েও তিনি ছিলেন একজন কবি।  লিখেছিলেন একাধিক কবিতা, গজল, শায়েরি। 

 

 

যে জগতে কাজ করে তিনি পরিচিত, বিখ্যাত, সেই বলিউড দুনিয়াকেই তিনি তার কবিতায় তির্যক ভঙ্গিতে সমালোচনা করেছেন। ব্যক্তি জীবনের নিঃসঙ্গতার কথায় এসেছে সেই কথা, একাকীত্বের প্রসঙ্গে এসেছে মিথ্যে জাঁকজমক, ঠাট বাট...। ফিলিপ বাউন্ডস ও ডেইজি হাসান লিখেছেন, 'কবিতার মধ্য দিয়ে মীনা কুমারী নিজেকে লোকপরিসর থেকে সরিয়ে রাখতেন।  গীতিকার, চিত্র পরিচালক গুলজারের সঙ্গে মীনা কুমারীর গভীর বন্ধুত্ব ছিল। মীনা কুমারীর মৃত্যুর পর গুলজার তাঁর কবিতা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছিলেন। তানহা চান্দ বইটি ভারত ও পাকিস্তান  দুই দেশেই জনপ্রিয় হয়েছিল। 

 

 

অবাক হতে হয়; তখন এমন একটি কবিতা বইটির পাইরেটেড কপিও বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু তারপর?  ধীরে ধীরে সেই বইয়ের পাতাগুলি যেমন যেমণ বিবর্ণ হয়ে গেল, তেমনি মীনা কুমারীর কবি পরিচয়টিও হারিয়ে গেল। একবার এক সাংবাদিক মীনা কুমারীকে প্রশ্ন করেছিলেন, বোম্বাইয়ের ছবিতে অভিনয়ের জন্য তো সারাদিন অনেকটা সময় আটকা থাকতে হয়। তারপর সারাদিনের পরিশ্রমের পর লেখালেখি করার সময় পান কখন?  জবাবে মোনা কুমারী জানিয়েছিলেন, 'লেখার জন্য খুব বেশি সময়ের দরকার হয় না। তবে লেখার ইচ্ছের জন্য একটু সময় দিলে আপনিও লিখতে পারবেন'। 

 

 

বোঝা যায় কাব্যচর্চায় তার কতটা আকর্ষণ ছিল। আর সে কাজে তিনি নিজে কতখানি গভীরভাবে নিয়োজিত ছিলেন। যেমন গজল, কবিতা, নজম লিখেছেন মীনা। তেমনই ছিল তাঁর কণ্ঠস্বর। গজল কিংবা নজম গাইতেন এবং আবৃত্তি করতেন খুব সুন্দর। 'তালাক তো দে রহে হো নজর-এ-কেহর কে সাথ / জওয়ানি ভি মেরা লৌটা দো মেহর কে সাথ'। কামাল আমরোহির সঙ্গে তালাকের পর এই পংতিগুলি লিখেছিলেন মীনা কুমারী। তাঁর কবিতার বই- তানহা চান্দ পড়ে সমস্ত কবিতাগুলি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন নুরুল হাসান- 'মীনা কুমারী দ্য পোয়েট : অ্যা লাইফ বিয়ন্ড সিনেমা'।

Share this article
click me!

Latest Videos

২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
দেবের সামনেই! ঘাটালে TMC-র শত্রু TMC! Dev ও শঙ্কর অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি | Ghatal | Dev |
'আমাদের এখানে কিম জং-য়ের লাইট ভার্সন আছে' Mamata-কে নাম না করে চরম কটাক্ষ Sukanta Majumdar-এর
'উপনির্বাচনে জিতে আরও অত্যাচার বাড়াবে TMC' উদ্বেগ প্রকাশ Adhir Ranjan Chowdhury-র
প্রকাশ্যে হুমকি! মমতার এই নেতার মুখের ভাষা...বিরোধীদের যা বললেন! দেখুন | Malda News Today |