আগামী মঙ্গলবার থেকেই ব্রিটেন করোনাভাইরাসের টিকাকরণ শুরু হবে। প্রথম ব্যাচে প্রায় ৮ লক্ষ ফাইজারের তৈরি করোনা টিকা পাবে ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ঠিক তখনই আশঙ্কার বার্তা দিলেন ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বাইলা। একটি টিভি চ্যালেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েদেন তাঁদের তৈরি টিকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কার্যকর কিনা সে বিষয় তিনি এখনও নিশ্চিত নন।
বেশ কয়েরক দিন আগেই ফাইজারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। পাশ্চ্যাতের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন জরুরি ভিত্তিতে ফাইজারের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা। ইতিমঘধ্যেই ৮ লক্ষ টিকার প্রথম ব্যাচ ব্রিটেনে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তখনই আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছেন ফাইজারের সিইও। এনবিসির লেস্টার হল্টের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বাউলেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোনও ব্যক্তি টিকা গ্রহণের পরেও ভাইরাসের সংক্রমণ করতে পারবে কিনা? তার উত্তরে সিইও বলেন, এই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। তিনি আরও বলেন তাঁর মনে হয় এটি এমন একটি বিষয় যা যাচাই করা প্রয়োজনীয়। তবে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনও নিশ্চিত নয় বলেও জানিয়েছেন।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভ্যাক্তিনের বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে টিকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতটা প্রতিহত করতে পারছে তার মূল্যায়ন হচ্ছে না ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মূলত দেখা হচ্ছে প্রতিষেধকটি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে কতটা সক্ষম। তাঁরা আরও বলেছেন টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিরা অন্যের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে দিতে পারে কিনা সেটিও বিতার করে দেখা জরুরি।
অন্যদিকে ব্রিটেন আশা করছে যে বছরের শেষদিকে ফাইজার ও বায়োএনটেকনোলজিয়ার তৈরি কয়েক মিলিয়ন করোনা টিকা তারা হাতে পাবে। যা মাহামারি থেকে বাঁচতে অনেকটাই সাহায্য করবে। ব্রিটেনের পাশাপাশি বারহিন-এই এই টিকা দেওয়া হবে বলে ফাইজারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
ফাইজারের পক্ষ থেকে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেলারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই-এর কাছেও জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোজন চাওয়া হয়েছে। এটিই প্রথম সংস্থা যেটি করোনা টিকা বিলির অনুমোদন চেয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তবে অনুমোন দেওয়া হবে কিনা তা এখনও স্থির হয়নি বলেও সূত্রের খবর।