ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস বলেছেন তিনি মহান উত্তরাধিকার ও দায়িত্ব ও সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে রীতিমত সচেতন। তিনি তাঁর মা প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পথেই চলবেন। তিনি বলেছেন, তাঁর মা তাঁর কাছে 'অনুপ্রেরণামূবক উদাহরণ'। তাই তিনি তাঁর মাকেই অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস বলেছেন তিনি মহান উত্তরাধিকার ও দায়িত্ব ও সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে রীতিমত সচেতন। তিনি তাঁর মা প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পথেই চলবেন। তিনি বলেছেন, তাঁর মা তাঁর কাছে 'অনুপ্রেরণামূবক উদাহরণ'। তাই তিনি তাঁর মাকেই অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এই প্রথম কোনও রাজার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার হল টেলিভিশন। শনিবার তৃতীয় চার্লসের ঐতিহাসিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রীতিমত উত্তেজনা ছিল ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে। চার্লস তাঁর ভাষণের প্রথমেই বলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু ঘোষণা তাঁর কাছে সবথেকে দুঃখজনক দায়িত্ব। ৭০ বছর রাজত্ব করার পর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে মারা গিয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬।
চার্লস বলেছেন, রানির মৃত্যুতে তাঁর জীবনে অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিশ্ব তাঁকে সহানুভূতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তাঁর মা ভালবাসা আর সেবার এক নিঃস্বার্থ প্রতীক ছিলেন। ৭৩ বছর বয়সী চার্লস জানিয়েছেন তিনি তাঁর মা-কে হারিয়ে রীতিমত শোকাহত। তবে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে সহানুভূতি জানিয়েছে।
চার্লস তাঁর প্রথম ভাষণে বলেছেন দায়িত্বগুলির গ্রহণের সময় তিনি সাংবিধানিক সরকারকে সমুন্নত রাখার জন্য ও ব্রিটিশ দীপপুঞ্জ ও সারা বিশ্বের কমনওয়েল্থ অঞ্চলের জনগণের শান্তি ও সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির জন্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যে উদাহরণ স্থাপন করেছেন তা অনুসরণ করব।
চার্লস জানিয়েছেন তাঁকে এই কঠিন সময় সাহায্য করেছেন আর অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, তাঁর ৭৫ বছর বয়সী স্ত্রী ক্যামিলা। তারপরই তিনি বলেন, দেশের প্রধান হিসেবে অফিসিয়াল দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলি সমর্থন করব। দেশ আর জাতির উন্নয়নে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্ম হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথের। তবে ব্রিটেনের রাজপাট যে তিনি সামলাবেন এমন কোনও কথা ছিল না। কারণ তাঁর বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট ছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জের ছোট ছেলে। তাই রাজা হওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন অষ্টম এডওয়ার্ড। কিন্তু বিবাহবিচ্ছন মহিলা বিয়ে করার ব্রিটেনের সংহাসনের মোহ ছাড়তে হয় তাঁকে। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই ব্রিটেনের রানি হয় এলিজাবেথ। ১৯৫৩ সালের ২ জুন তাঁর রাজ্যাভিষেক হয়। তারপরই উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজদণ্ড তুলে দেন তিনি।
রানি হিসেবে দীর্ঘ দিন ব্রিটেনর মসনদে থাকার সময় তাঁকে একাধিকবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁর সিংহাসন মোটেও নিষ্কন্টক ছিল না। রানি হওয়ার পরই সন্তানদের অবহেলা করছেন- এমন সমালোচনা যেমন শুনতে হয়েছিল। তেমনি ডায়নার মৃত্যুর পরই কাঠগড়ায় দাঁড়কানো হয়েছিল ব্রিটেনের রাজপরিবারকে। সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়নি রানিকেও। যাইহোক দীর্ঘ সময়ের রাজপাটের দায়িত্ব সামলেও তিনি কর্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে বরিস জনসনকেও বিদায় জানানোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের।