পলাশীর যুদ্ধে জিতে স্থাপন করেছিলেন উপনিবেশ, বিলেতেই উপরে ফেলার দাবি লর্ড ক্লাইভের মূর্তি

ভারতে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের স্থপতি ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ

এবার বিলেতের মাটিতেই তাঁর মূর্তি উপরে ফেলার দাবি উঠেছে

১৭৭০ সালের মন্বন্তরের জন্য দায়ী করা হচ্ছে তাঁকে

এই নিয়ে অনলাইনে চলছে সই সংগ্রহ

 

২০০ বছর ধরে ভারতকে শাসন করছিল ব্রিটিশরা। আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার হিসাবে সেই ব্রিটিশ উপনিবেশের গোড়া পত্তন করেছিলেন রবার্ট ক্লাইভ।  এবার তাঁর অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। খোদ বিলেতের মাটিতেই বাংলা তথা ভারতের প্রথম ব্রিটিশ গভর্নরের মূর্তি উপরে ফেলার দাবি উঠেছে।

আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর শুরু হয়েছে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন। তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বেই। শুধু কালো মানুষদেরই নয়, বিশ্বের সব বঞ্চিত সংখ্যালঘু মানুষই এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম বোধ করছেন। সম্প্রতি আটলান্টিক পেরিয়ে সেই আন্দোলনের আঁচ এসে পৌঁছেছে ব্রিটেনেও। ব্রিস্টলে এতদিন সগর্বে দাঁড়িয়েছিল সপ্তদশ শতাব্দীর ক্রীতদাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কলস্টন-এর মূর্তি। সম্প্রতি সেই মূর্তি উপরে ফেলা হয়েছে।

Latest Videos

এবার আঙুল উঠেছে, ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশের স্থপতি রবার্ট ক্লাইভের মূর্তির দিকে। লন্ডনের শহর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শ্রেউসবারি-র প্রধান চকে ক্লাইভের একটি মূর্তি রয়েছে। এই শহরেরই মেয়র এবং সাংসদ ছিলেন তিনি। ১৮৬০ সাল থেকে এই মূর্তিটি শহরের অংশ হিসেবেই ছিল। কিন্তু, এইবার আওয়াজ উঠেছে, আর নয়। জোসেফ স্টালিন, চেঙ্গিস খান-এর মতো ব্যক্তিত্বের মূর্তি স্তাপন নিয়ে আপত্তি থাকলে ক্লাইভের মূর্তি নিয়েও আপত্তি থাকা উচিত।

ব্যক্তি রবার্ট ক্লাইভ ততটা আপত্তিকর না হলেও, তাঁর রাজনৈতিক আধিপত্যেই বাংলা তথা ভারতে চূডড়ান্ত পর্যায়ে লুঠতরাজ চালিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। জোর করে নীল চাষ করিয়ে ১৭৭০ সালে বাংলায় ডেকে এনেছিল দুর্ভিক্ষ। যার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এমন এক ইতিহাস যার সঙ্গে জড়িত, তাঁর মূর্তি থাকা উচিত নয়, এমনটাই বলছেন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোনের সমর্থকরা।

ডেভিড পার্টন নামে এক ব্যক্তি রবিবারই ক্লাইভের মূর্তি উৎখাতের দাবি নিয়ে সই সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন আবেদনের সূচনা করেছেন। প্রথম রাতেই স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা এক হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।

ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্রতিবাদ লন্ডনেও কোথাও কোথাও হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। সোমবারই লন্ডনে উইনস্টন চার্চিল-এর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই সহিংস আন্দোলনকে লুটপাট ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি নন। তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকে নিয়ে ব্রিটেনে কোনও প্রতিবাদ করতে দিতে রাজি নন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাস্তাতেই তিনি শক্ত হাতে তা দমন করবেন। ব্রিটেনেও কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতিদিনই অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়।  

 

Share this article
click me!

Latest Videos

ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল