কোভিড-১৯'এ ২২ লক্ষ মার্কিনির প্রাণ সংশয়, মৃত্যু হতে পারে ব্রিটেনের ৫ লক্ষর

Published : Mar 18, 2020, 05:05 PM IST
কোভিড-১৯'এ ২২ লক্ষ মার্কিনির প্রাণ সংশয়, মৃত্যু হতে পারে ব্রিটেনের ৫ লক্ষর

সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ জাঁকিয়ে বসেছে বিশ্বের উপর ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থা বেশ খারাপ তারমধ্যে আরও ভয় ধরালো এক ব্রিটিশ গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য তাদের সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই অবস্থান পাল্টালো ব্রিটিশ সরকার  

করোনাভাইরাস-এর প্রাদুর্ভাবে ব্রিটেনে অর্ধ মিলিয়ন বা ৫ লক্ষের বেশি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২.২ মিলিয়ন বা ২২ লক্ষেরও বেশি মমানুষের প্রাণহানি হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে করোনাবাইরাস প্রতিরোধে আরও কঠিন পদক্ষেপ না নিলে কয়েকমাস পর অবস্থাটা এমনই দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেছে একটি ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা। সূত্রের খবর, তাদের গবেষণার এই ফলাফল দেখেই গত সোমবার থেকে ব্রিটেনে সবরকম সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সত্তরোর্ধ সকলকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে ম্যাথমেটিকাল বায়োলজি নিয়ে অধ্যাপনা করেন নেইল ফার্গুসন। তাঁর নেতৃত্বেই গবেষকদের একটি দল, ইতালি-তে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক তথ্যের সঙ্গে ১৯১৮ সালের সর্বনাশা ফ্লু প্রাদুর্ভাবের তথ্যের তুলনা করেছে। তারপরই ফার্গুসন-এর দল জানিয়েছে, সরকার থেকে যদি কোনও কড়া প্রতিরোধী পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে মৃত্যুমিছিল ওই পর্যায়েই পৌঁছবে। এমনকি, সন্দেহভাজনদের স্ববিচ্ছিন্নতায় রাখা-সহ কিছু সামাজিক বিধিনিষেধের মতো যেসব দুর্বল পদক্ষেপ এর আগে ব্রিটিশ সরকার নিয়েছিল তাতেও ২,৫০,০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকত।

চূড়ান্ত সামাজিক দূরত্ব বজার রাখা, অর্থাৎ ক্লাব, বার, পাব, সিনেমা হল, থিয়েটার এড়িয়ে চলার মতো ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে এই মহামারীতে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিশ্বব্যপী যে অর্থনৈতিক চাপ আসতে চলেছে, তা কোনওভাবেই ঠেকানো যাবে না বলেই দাবি করছে এই গবেষণা।

সূত্রের খবর, এই গবেষণায় সিদ্ধান্তগুলি সামনে আসতেই ব্রিটিশ সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের আগের ঢিলেঢালা অবস্থান পরিবর্তন করে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা 'বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ' নিয়ে তাদের পরিকল্পনাগুলি ঠিক করেছে। নতুন পদক্ষেপগুলি সবসময়ই 'সরকারের কর্ম পরিকল্পনার অংশ' ছিল। তবে নতুন পদক্ষেপগুলি নেওয়ার আগে পর্যন্ত জনসন সরকার-এর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ব্রিটিশ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের মতো অন্যান্য ইউরোপিয় দেশগুলির মতো কঠোর ব্যবস্থার দাবি করছিলেন তাঁরা। যদিও লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন-এর ডিরেক্টর তথা ভাইরাস এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার পাইট জানিয়েছেন 'এই অভূতপূর্ব মহামারী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষের জ্ঢান এখনও অত্যন্ত সীমিত'।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: 8th Pay Commission কবে থেকে বাস্তবায়িত হবে? বড় আপডেট দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক
১৬ বছরের নীচে আর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নয়, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত সরকারের